AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

পূর্ব ঘটনার জেরে ইবিতে সিনিয়র-জুনিয়র মারামারি


Ekushey Sangbad
আবির হোসেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
০৯:২৯ পিএম, ২১ জানুয়ারি, ২০২৪
পূর্ব ঘটনার জেরে ইবিতে সিনিয়র-জুনিয়র মারামারি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) একই বিভাগের সিনিয়র ও জুনিয়র শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। পূর্ব ঘটনার জেরে আজ রোববার দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝাল চত্বরে সমাজকল্যাণ বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ ও ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। এতে ৩জন আহত হলে তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এদিকে এ ঘটনার বিচার চেয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তার ব্যাচের পক্ষ থেকে প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। বিভাগ সংশ্লিষ্ট বিষয় হওয়ায় এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগ ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন প্রক্টর।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা সবাই সমাজকল্যাণ বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী ও তার বন্ধুরা পরীক্ষা শেষ করে ঝাল চত্বরে আসলে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী কাঠের বাটাম, ইট, লাঠিসোটা দিয়ে তাদের উপর আক্রমণ করেন একই বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মাজহারুল ইসলাম নাঈম ও মারুফ, ইংরেজি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মাসুদ হোসেন, ল এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের নিশান, বাংলা বিভাগের তৌহিদ তালুকদার এবং ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের অলিসহ অজ্ঞাত আরও ১০-১৫ জন। হামলায় সমাজ কল্যাণ বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মাহমুদুল হাসান উৎস, রিয়াজ উদ্দিন ও বাদশা গুরুতর আহত হয়। হামলায় উৎস চোখে গুরুতর আঘাত এবং বুকে ও পিঠে জখম হয়।    

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, গত ২২ নভেম্বর সমাজ কল্যাণ বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের নবীনবরণ উপলক্ষে বিভাগের পক্ষ থেকে চড়ুইভাতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেসময় ভুক্তভোগী উৎস ভুলক্রমে একটি ওয়ানটাইম প্লেট ভেঙে ফেলেন। তখন এটা নিয়ে অভিযুক্ত নাঈম ও মারুফসহ ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের অন্যরা উৎসসহ ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের সবাইকে অপমান করেন। তখন উৎস ও তার সহপাঠীরা এর প্রতিবাদ করলে উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটলে উভয়পক্ষ একে অপরের দিকে চেয়ার ছুড়ে মারেন। এসময় চেয়ারের আঘাতে অভিযুক্ত নাঈম গুরুতর আহত হন এবং ভুক্তভোগীর কয়েকজন সহপাঠীর হাত কেটে যায়। পরে শাখা ছাত্রলীগের মধ্যস্থতায় উভয়পক্ষের মধ্যে বিষয়টি মিমাংসা হলেও এ ঘটনার জেরে রোববার ফের মারামারিতে জড়ায় তারা।  

ভুক্তভোগী মাহমুদুল হাসান উৎস বলেন, পাঁচ টাকার একটা প্লাস্টিকের প্লেট ভুলক্রমে ভেঙে যাওয়ার পর আমি অনেকবার সরি বললেও তারা আমাদের ব্যাচের সবাইকে আমাদের জুনিয়রদের সামনে অপমান করে। এটা নিয়ে তখন আমাদের সাথে তাদের হালকা বাকবিতন্ডা হয়। এই সামান্য বিষয়টাকে তারা এত বড় ইস্যুতে পরিণত করেছে।

অভিযুক্ত মাজহারুল ইসলাম নাঈম বলেন, ঘটনাস্থলে আমি উপস্থিত ছিলাম না। এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। আরেক অভিযুক্ত মারুফও একই কথা বলেন।

প্রক্টর প্রফেসর ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, ঘটনাটি নিয়ে বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা একদিন সময় চেয়েছে। সোমবার বিভাগ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছে। বিভাগ ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হলে সক্ষেত্রে আমরা বিষয়টি দেখেবো। এ বিষয়ে জানতে সমাজকল্যাণ বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক শ্যাম সুন্দর সরকারের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।  


একুশে সংবাদ/আ.হ.প্র/জাহা

Link copied!