ঘড়ির কাটায় বেলা দশটা৷ মেডিকেল অফিসের একজন মেডিকেল এসিটেন্ট একজন অফিসে বসে আছে৷ ডাক্তারদের রুম ফাঁকা পড়ে আছে৷ কেউ নেই৷
সোমবার (২৯ জানুয়ারী) সকাল ১০টায় চিকিৎসা সেবা নিতে যেয়ে এমন বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী নূর মোহাম্মদ৷
নূর মোহাম্মদ বলেন, শারিরীক অসুস্থতা নিয়ে আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে ডাক্তার দেখাতে যাই৷ সকাল নয়টায় অফিস শুরু হলেও দশটার সময় দশটার পরেও একজন ডাক্তারও আসেননি৷ এভাবে কি একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত মেডিকেল সেন্টার চলতে পারে৷ দ্রত কর্তৃপক্ষের এসব বিষয়ে নজর দেওয়া উচিৎ৷
বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী সুদীপ কুন্ড সবুজ বলেন, গত ১০ জানুয়ারি আমি মেডিকেল সেন্টারে সকাল ১১টা নাগাদ ডাক্তার দেখাতে যাই কিন্তু জানতে পারি মেডিকেল সেন্টারে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা সহ সবাই একযোগে একটি আলোচনা সভায় যোগ দিয়েছে। এটি আসলেই একটি হতাশাজনক ব্যাপার। এছাড়াও ওষুধ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেনো মেডিকেল সেন্টারের প্রতি সুদৃষ্টি দেন।
অমরেশ মন্ডল অমর নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, দুপুরে লাঞ্চ টাইমে সেবা বন্ধ থাকে। যদি কেউ ঐ সময় অসুস্থ অবস্থায় যায় তারা পরে আসতে বলে। এটা কোন ধরনের আচরণ?
এবিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ড. শাম্মী আরা নিপা বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি সময়মত উপস্থিত থাকি এবং অনেকেই চিকিৎসা নিতে আসেন। হয়তো কিছু মিস আন্ডারস্ট্যান্ডিং হতে পারে।
এ বিষয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার মনিরুল ইসলাম বলেন, আমাদের কাছে কোনরকম অভিযোগ আসে নাই, আসলে অবশ্যই খোঁজ নিব। অনেক সময় গাড়ি আসতে একটু দেরি হয়। ১০ জানুয়ারি মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসকদের অনুপস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেনো ঐদিন কোনো চিকিৎসক ছিল না বিষয়টি আমি অবশ্যই দেখবো।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :