বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী শফিকুর রহমান ওরফে শফিক মুন্সির বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন৷ বিভাগ ও প্রক্টরিয়াল বডির দুটি ভিন্ন ভিন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করেছে৷ বুধবার (৭ফেব্রুয়ারী) সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. আবদুল কাইউম৷
প্রক্টরিয়াল বডির তদন্ত কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মাহফুজ আলমকে আহ্বায়ক করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়৷ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব ও সহকারী প্রক্টর ফরহাদ উদ্দিন, অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টা মারজিয়া নমি।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়কও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মাহফুজ আলম বলেন, তদন্ত কমিটির কাজ দ্রুত গতিতে চলছে৷আশা করি সময়ের আগেই প্রতিবেদন জমা দিতে পারবো৷
প্রক্টর অফিস সূত্রে জানা যায়, বিভাগীয় তদন্ত কমিটি রিপোর্ট ও প্রক্টরিয়াল বডির সভায় গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট এর মাধ্যমে সমন্বিত ফাইনাল রিপোর্ট আগামী ১০ কার্য দিবসের মধ্যে কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তরের জন্য বলা হয়েছে৷
এ বিষয়ে প্রক্টর ড. মো. আবদুল কাইউম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷ ভুক্তভোগী ঐ শিক্ষার্থীকে সকল ধরনের সাপোর্ট বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দিয়ে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী ব্যাতীত অন্য কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে কিংবা হলে অবস্থান করতে পারবে না। যদি করে তবে তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরন করবে।
প্রসঙ্গত,গত ২৩ জানুয়ারী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের এক নারী শিক্ষার্থী শফিক মুন্সির বিরুদ্ধে প্রক্টর বরাবর এ অভিযোগ দেন৷ অভিযোগের পর থেকে ভুক্তভোগীকে অভিযোগ প্রত্যাহারেও বিভিন্ন চাপ প্রয়োগ করে আসছিলেন অভিযুক্ত শফিক মুন্সি৷ এছাড়াও শফিক মুন্সি শিক্ষাজীবন শেষ হওয়ার পরও বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরে বাংলা হলের ৪০২১ নম্বর রুম দখল করে থেকে আসছিলো৷
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :