শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা চাইলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) আবারও ছাত্ররাজনীতি চালু করা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার। তবে সেই উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের থেকেই নিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
উপাচার্য বলেন, রাজনীতি না করলে দেশের প্রতি দায়িত্ববোধ আসবে না। রাজনীতি করার অধিকার সকলেরই আছে। আন্দোলন ছেড়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে যাবার আহ্বানও জানান তিনি।
তদন্ত প্রতিবেদন পাবার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সামগ্রিক বিষয়ে সিদ্ধান্তে যাবে বলেও মন্তব্য করেন উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার।
২০১৯ সালে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যার পর দাবির প্রেক্ষিতে বিশ্বিবদ্যালয়টিতে বন্ধ করা হয় ছাত্র রাজনীতি। তবে কাগজে-কলমে রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হলেও সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি, প্রতিষ্ঠানটিতে এক মুহূর্তের জন্যও বন্ধ হয়নি রাজনীতি। বরং ছাত্র রাজনীতি বন্ধের ফায়দা নিচ্ছে উগ্রবাদী রাজনৈতিক সংগঠন।
এরই মধ্যে ২৮ মার্চ মধ্য রাত থেকে হঠাৎ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বুয়েট। ক্যাম্পাসে রাজনীতির বীজ বপনের চেষ্টা হচ্ছে এমন অভিযোগে শুক্রবার আন্দোলনে নামেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ছয় দফা দাবিতে শহীদ মিনারের পাদদেশে অবস্থান নেন তারা।
দ্বিতীয় দিন শনিবার ১১টায় আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে আল্টিমেটাম দেয়া হয়। নিয়ম ভাঙার দায়ে ২১ ব্যাচের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ রাব্বিকে স্থায়ী বহিষ্কার সময় বেঁধে দেয়া হয় দুপুর ২টা পর্যন্ত।
এরপর শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেন বুয়েটের প্রশাসনিক ভবনের সামনে। রোববার সকাল থেকে আরও কঠিন আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা। তবে রোববার ক্যাম্পাসে দেখা যায়নি আন্দোলনরত কোনো শিক্ষার্থীর উপস্থিতি। এদিকে, বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে ছাত্রলীগ।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :