ঈদুেল ফিতরের পর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) পুরোদমে খুলেছে বুধবার (১৭ এপ্রিল)। ওইদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১তম ব্যাচের টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা ছিল। ওই পরীক্ষায় অংশ নেন মাত্র ৮ জন। বাকি এক হাজার ২৭১ শিক্ষার্থী পরীক্ষা বর্জন করেন। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ছিল বিশ্ববিদ্যালয়টির ২২তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা। তবে এ পরীক্ষায় অংশ নেননি কেউ।
বুয়েট সূত্র জানায়, ২২তম ব্যাচে বর্তমানে সক্রিয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা এক হাজার ৩০৫ জন। তাদের মধ্যে একজনও পরীক্ষার হলে উপস্থিত হননি। অর্থাৎ শতভাগ শিক্ষার্থী এ পরীক্ষা বর্জন করেন। রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে গুরুত্বপূর্ণ এ পরীক্ষা বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জানান, পরীক্ষা শুরুর নির্ধারিত সময় ছিল সকাল ৯টা। নির্ধারিত সময়ের আগেই পরীক্ষার কক্ষগুলোতে যান পরীক্ষকরা। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি শূন্য থাকায় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পরীক্ষার কক্ষ থেকে তারা বেরিয়ে যান।
গত ৩০ মার্চ প্রথমবারের মতো টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা বর্জন করেন ২২তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। এর আগে ১৮ ও ২০তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরাও টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা বর্জন করেন। পরীক্ষা বর্জন করে ক্যাম্পাসে রাজনীতি বন্ধসহ ছয় দফা দাবিতে অটল তারা।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও বুয়েটে রাজনীতি বন্ধ রাখতে শেষ পর্যন্ত আইনি লড়াই চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেছেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খান।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ এখন পর্যন্ত তারা হাতে পাননি। হাইকোর্টের আদেশ পাওয়ার পর আইনি লড়াইয়ে যাবে বুয়েট।
অধ্যাপক আব্দুল জব্বার খানের ভাষ্য, এখন পর্যন্ত আমরা কোর্টের কোনো অর্ডার পাইনি। যতটুক জানতে পেরেছি, ২২ এপ্রিল পর্যন্ত কোর্ট বন্ধ রয়েছে। হয়তো এরপর অর্ডারটি হাতে পেতে পারি। হাইকোর্টের আদেশটি হাতে পেলে আমরা দেখবো, সেখানে কী বলা হয়েছে।
বুয়েটের উপ-উপাচার্য বলেন, বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে যে, বুয়েট কর্তৃপক্ষ আইনি প্রক্রিয়ার বাইরে থাকতে চাইছে। এটি আসলে কোনোভাবেই সম্ভব নয়। আইনি প্রক্রিয়ার স্বাভাবিক গতিতেই আমাদের অবশ্যই রেসপন্স করতে হবে। আইনি যে প্রক্রিয়া রয়েছে, এটি শেষ অবধি আমরা কনটেস্ট করবো। আপিল বিভাগে যাবো, আপিল করবো। সেখানে আমরা একা নই, আমাদের সঙ্গে আমাদের শিক্ষার্থী ও অ্যালামনাইরা থাকবেন।
একুশেসংবাদ/জা.নি/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :