নগদ টাকার বদলে ডিজিটাল লেনদেনে ঝুঁকছে বিশ্ব। বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই এই প্রক্রিয়ায়। এরই মধ্যে কিছু জায়গায় ক্যাশলেস লেনদেন চালু হয়েছে। এবার সেই পথে এগোচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। দেশে প্রথম ক্যাশলেস লেনদেনের ক্যাম্পাস হতে যাচ্ছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এ প্রস্তাব দিয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, এতে নগদ টাকার ঝুঁকি কমবে, লেনদেন হবে আরও সহজে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, এ মাসেই বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে চূড়ান্ত হবে কর্মপরিকল্পনা।
ক্যাশলেস সোসাইটি হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে, ভর্তি ও বিভিন্ন পরীক্ষার ফিসহ সব লেনদেনই করা যাবে ডিজিটাল মাধ্যমে। এমনকি ক্যাম্পাসের মধ্যে বিভিন্ন দোকানে নগদ টাকা ছাড়াই করা যাবে কেনাকাটা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী বলেন, ক্যাশলেস সোসাইটির যে সিস্টেম সেটা অবশ্যই মানুষের কল্যাণের জন্য। আর টাকা লেনদেনের যে বিষয়টা সেক্ষেত্রে এটা খুবই যৌক্তিক। শিক্ষার্থীরা উপকৃতই হবে। এটা খুব ভালো একটা ব্যাপার। এটা হলে আমাদের জন্যও সুবিধা হবে। টাকা পয়সার লেনদেনটা ডিজিটালি হবে।
আগামী ২৮ জুলাই শিক্ষক, কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন অংশীদারদের সঙ্গে পরিকল্পনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের বাড়তি খরচ এড়াতে শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র ও আইডি নম্বর ব্যবহার করে কীভাবে লেনদেন সহজ করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ–উপাচার্য অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, প্রায় ৭০ থেকে ৮০ ভাগ কাজ এ বিষয়ে করাই আছে। কারণ কোনো লেনদেন কোনো অফিসে নগদ টাকায় হয় না, সবই আমাদের ব্যাংকে। একটা সার্টিফিকেট তুলতে গেলেও আমাদের ব্যাংকে টাকা জমা দিতে হয়। ফলে আমাদের ক্যাশলেস ইউনিভার্সিটি হিসেবে দাবি করতে যতটুকু কাজ বাকি আছে, এটা করতে বেশি সময় লাগবে বলে মনে হয় না।
২০৩১ সালের মধ্যে দেশের শতভাগ লেনদেন ক্যাশলেস পদ্ধতিতে করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। এতে নোট ছাপানো ও সার্বিক ব্যবস্থাপনার খরচ সাশ্রয় হবে।
একুশে সংবাদ/ই.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :