পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(পবিপ্রবি) শিক্ষকদের মধ্য থেকেই ভাইস-চ্যান্সেলর নিয়োগের দাবীতে দ্বিতীয় দিনের মতো শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৪ সেপ্টেম্বর(মঙ্গলবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। এই মানববন্ধনে তারা তাদের দাবী উত্থাপন করেন। মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তর হতেই উপাচার্য নিয়োগের দাবি জানান। এক্ষেত্রে তারা কোনো আপস করবেন না জানিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. জিল্লুর রহমান বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় এমন একটি প্রতিষ্ঠান যা সম্পূর্ণরূপে নিজেদের গভর্নিং বডি দয়ে পরিচালিত হতে পারে। যদি ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান বিশ্ববিদ্যালয়ের, ফ্যাকাল্টির ডীন বিশ্ববিদ্যালয়ের হতে পারে তবে ভিসি কেন এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হতে পারবে না?”
পিজিএস ফ্যাকাল্টির ডীন অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান বলেন, “এটি অনেক পুরাতন বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া সত্ত্বেও উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের শিথিলতা দেখা যাচ্ছে। পূর্বে বাহিরের ভিসি আসলেও তারা তল্পিতল্পা গুটিয়ে চলে গিয়েছে দুর্নীতির বোঝা মাথায় নিয়ে এমন রেকর্ড ও আছে। এভাবে ভাড়াটিয়া ভিসি দিয়ে ক্যাম্পাস চলতে পারেনা।”
আইন ও ভূমি প্রশাসন অনুষদের ডীন অধ্যাপক আব্দুল লতিফ বলেন, “৫ ই আগস্টের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের পর যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছেন তারা সবকিছু এত সুন্দরভাবে পরিচালনা করেছেন যা অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অনুকরণীয়। পূর্বের যারা বাইরে থেকে ভিসি হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে প্রশ্নফাঁস এর মতো গুরুতর অভিযোগ। যেহেতু বর্তমান ক্যাম্পাস পরিচালনায় প্রশাসন এখনো ব্যর্থ নয়, সেক্ষেত্রে বাইরে থেকে ভিসি আসার কোনো স্বার্থকতা আছে বলে তিনি মনে করি না”
বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. এস এম হেমায়েত জাহান বলেন, “একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক যেরকমভাবে ভার্সিটিটাকে গুছিয়ে নিবে বাহিরের ভাড়াটিয়া ভিসি সেভাবে গুছিয়ে নিতে পারবে না। পূর্বের বাহির থেকে আসা ভিসিগণের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে তারা ঘুমিয়ে কাটান।”
এসময় তিনি প্রশ্ন রাখেন যে এমন কি কমতি হয়ে গেল যাতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাহির থেকে ভিসি আনতে হয়। তিনি জোর গলায় বলেন, “নো এন্ট্রি ফ্রম আউটসাইড”
মানববন্ধনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন “যে কোন রকমে বাহির থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আনা হবে না, যদি বাহির থেকে ভিসি নিয়োগও হয় সেক্ষেত্রে তাকে তারা অবাঞ্চিত ঘোষণা করবেন। তাছাড়া তারা এই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ারও ঘোষণা দেন।”
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :