৫৪ পেরিয়ে ৫৫তম বছরে পদার্পণ করল দেশের অন্যতম জনপ্রিয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। ৫৪ বছরের পথপরিক্রমায় বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষা ও গবেষণাসহ অন্যান্য শিক্ষা কর্মকাণ্ডে গৌরব অর্জন করেছে।
১৯৭০ সালের ২০ আগস্ট তৎকালীন সরকার এক অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকার পূর্ব নাম জাহাঙ্গীরনগরের সঙ্গে মিলিয়ে ‘জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়’ নামকরণ করেন। এরপর ১৯৭১ সালের ১২ জানুয়ারি পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম আহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। পরবর্তী সময়ে ১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট পাস হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়’ রাখা হয়।
মোট ৪টি বিভাগে (অর্থনীতি, ভূগোল, গণিত ও পরিসংখ্যান) ১৫০ জন ছাত্র ও ২৩ জন শিক্ষক নিয়ে যাত্রা শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়টি। তবে বর্তমানে ৬টি অনুষদের অধীনে ৩৪টি বিভাগ চালু আছে। এ ছাড়া ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি (আইআইটি), ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ-জেইউ), ইনস্টিটিউট অব রিমোট সেন্সিং, তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউট এবং ভাষা শিক্ষা কেন্দ্র রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্লেখযোগ্য স্থাপনার মধ্যে রয়েছে- দেশের সবচেয়ে উঁচু শহীদ মিনার, মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য সংশপ্তক, ভাষা আন্দোলন স্মরণে নির্মিত ভাস্কর্য অমর একুশ। এ ছাড়া নাট্যাচার্য সেলিম আল দীনের নামে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন মুক্তমঞ্চ। এ বিশ্ববিদ্যালয়কে অতিথি পাখির অভয়ারণ্যও বলা হয়। অন্যদিকে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের উদ্যোগে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্র ও প্রজাপতি পার্ক স্থাপন করে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয়টির অবদান দেশবিদেশে প্রশংসা লাভ করেছে।
একুশে সংবাদ//কা.বে//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :