AB Bank
ঢাকা সোমবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

বর্ণিল আয়োজনে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে পিঠা উৎসব উদযাপন


Ekushey Sangbad
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
০৭:৫৭ পিএম, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫
বর্ণিল আয়োজনে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে পিঠা উৎসব উদযাপন

পিঠা উৎসবের মাধ্যমে বাঙালি সংস্কৃতির সাথে নতুন প্রজন্মকে পরিচিত করা এবং বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখার প্রয়াসে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে  অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘পিঠা উৎসব ১৪৩১’। এ দিন উৎসবের উদ্বোধনী ঘোষণা করেন অত্র কলেজের অধ্যক্ষ ড. কাকলী মুখোপাধ্যায়। 

অনুষ্ঠানের সার্বিক বিষয়ে অধ্যক্ষ ড.কাকলী মুখোপাধ্যায় বলেন, "তারুণ্যের উৎসব উদযাপন উপলক্ষে এই পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। কোনরকম বিশৃঙ্খলা ছাড়াই সুন্দর ও সুশৃংখলভাবে পিঠা উৎসব শেষ হয়েছে। শিক্ষার্থীরা উৎসবমুখর পরিবেশে উৎসব উদযাপন করে। 

উৎসবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সরব উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে ওঠে পিঠা স্টলগুলো। পিঠা প্রদর্শনী ও বিক্রির প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে কলজের ১৭ টি বিভাগসহ, উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের একটি স্টল, সোহরাওয়ার্দী কলেজ সাংবাদিক সমিতি (সোকসাস), বিএনসিসি, সেচ্ছায় রক্তদাতা সংগঠন বাঁধন, রেডক্রিসেন্ট, গার্লস গাইড, লিও ক্লাব এবং রোভার স্কাউটস।  আর এসব স্টল ভর্তি ছিল বাহারি স্বাদের ও নামের পিঠায়।

পিঠা উৎসব প্রসঙ্গে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী সৌরভ খান সুমন জানান, "পিঠা উৎসব বাঙালির চিরাচরিত ধারাকে তরুণ প্রজন্মের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার একটি কার্যকরী উদ্যোগ। বাহারি নকশায় তৈরি পিঠা গুলো বাঙালি নিজ সত্তাকে বহন করে।"

এ অনুষ্ঠানে পিঠা প্রদর্শনী ও বিক্রির প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কলেজের বাংলা বিভাগ, দ্বিতীয় হয়েছে সমাজকর্ম বিভাগ এবং যৌথভাবে তৃতীয় হয়েছে প্রাণিবিদ্যা ও গণিত বিভাগ। উৎসব শেষে বিভাগগুলোর হাতে পুরস্কার তুলে দেন  কলেজের অধ্যক্ষ ও অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দরা। এসময় কলেজ প্রাঙ্গণ জুড়ে ছিল শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং দর্শনার্থীদের মুখে হাসির ঝিলিক। তারুণ্যের এই পিঠা উৎসব বাংলা সংস্কৃতির এক উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে থাকবে বলে তারা আশা করেন।

প্রসঙ্গত, একসময় বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে বাহারি রকমের পিঠা তৈরির প্রচলন থাকলেও কালের বহমান গ্রাস আর নগর সংস্কৃতির ছোঁয়ায় তা ধীরে ধীরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। নিকট অতীতেও গ্রামীণ সংস্কৃতিতে এই উৎসবগুলো অধিক গুরুত্ব ও যত্নের সাথে পালন করা হতো। যদিও বর্তমান বাস্তবতায় নানা কারনে পিঠা তৈরির প্রচলনটি প্রায় বিলুপ্ত হওয়ার পথে। ফলে, এসব উৎসবের সাথে সকলকে পরিচিত করার বিকল্প মাধ্যম এখন এসব উৎসব আর ছোট পরিসরে নাগরিক কোলাহল।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!