জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় মদত দেওয়ার অভিযোগে নয়জন শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়া, ছাত্রলীগের ২৮৯ জন নেতাকর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গতকাল সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভা শেষ রাত তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। এর আগে ওইদিন বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনে সিন্ডিকেট সভা শুরু হয়।
উপাচার্য সাংবাদিকদের বলেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে জাবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ২৮৯ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া, একটি অধিকতর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।"
“ওই ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে যাদের ছাত্রত্ব শেষ তাদের সনদ স্থগিত করা হবে, যারা পরীক্ষা ও ভাইভা দিয়েছে তাদের ফলাফল স্থগিত করা হবে এবং নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সাময়িক বহিষ্কার করা হবে।”
আন্দোলন চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে “ছাত্রলীগ ও পুলিশি হামলায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে” নয় জন শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে আরও কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করতে স্ট্রাকচার্ড কমিটি গঠন করা হয়েছে।”
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকরা হলেন— সাবেক উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক আলমগীর কবির, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক বশির আহমেদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সাবেক প্রভোস্ট অধ্যাপক ইস্রাফিল আহমেদ, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী ইকবাল, ইতিহাস বিভাগের অধ্যপক হোসনে আরা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের সাবেক প্রভোস্ট নাজমুল হাসান তালুকদার এবং পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ তাজউদ্দীন সিকদার।
একুশে সংবাদ/ব.জ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :