পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) বিশেষ বাস সার্ভিসে এক নারী শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তার অসদাচরণ ও উগ্র ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১২ এপ্রিল) স্বতন্ত্র কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা ২০২৫ উপলক্ষে পটুয়াখালী থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গামী একটি বাসে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ভর্তি-ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীদের যাতায়াত সুবিধার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন শাখা থেকে পটুয়াখালী শহর থেকে ক্যাম্পাস পর্যন্ত বিশেষ বাস সার্ভিস চালু করা হয়। তবে এই বাসেই এক নারী শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ছাত্রী মরিয়ম নেসা ঐশি জানান, “আমি আমার দুই আত্মীয় এবং ভর্তি পরীক্ষার্থী নিয়ে বাসে উঠেছিলাম। চৌরাস্তা এলাকায় পৌঁছালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা আমাদের সঙ্গে বাজে ব্যবহার শুরু করেন। পরবর্তীতে তারা আরও উচ্চবাচ্য শুরু করলে বাসের সহকারী আমাদের জোরপূর্বক নামিয়ে দেন। বিষয়টি ছিল অত্যন্ত অপমানজনক।”
তিনি আরও বলেন, “বিশেষ বাস সার্ভিসের নামে যেভাবে আমাদের সঙ্গে আচরণ করা হয়েছে, তাতে আমরা হতভম্ব। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে এমন ব্যবহার একেবারেই অপ্রত্যাশিত।”
পরবর্তীতে বাস থেকে নামিয়ে দেওয়ার পর অটোরিকশাযোগে ক্যাম্পাসে আসার পথে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন ঐশি ও তার পরিবারের সদস্যরা। এতে দুজন অভিভাবক গুরুতর আহত হন এবং ঐশি নিজেও মাথা ও কানে আঘাত পান।
এ ব্যাপারে পরিবহন কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোঃ কামাল হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, `কর্মকর্তাদের কাছ থেকে এমন আচরণ কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমার নির্দেশনা ছিলো, কর্মকর্তাদের বাস হলেও সিট ফাঁকা থাকা সাপেক্ষে যেনো পরীক্ষার্থীদের নেওয়া হয়। তবুও আমি আগামীকাল বাসের ড্রাইভার, হেল্পারদের সাথে কথা বলে পরবর্তীতে যেনো আর এরূপ ঘটনা না ঘটে তার ব্যবস্থা করবো৷`
ঘটনার পরপরই বিষয়টি জানতে পেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম আহতদের দেখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথকেয়ার সেন্টারে যান। তিনি বলেন, “এ ধরনের ঘটনা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। যারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের শনাক্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :