জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) যাকাত ও কল্যাণ তহবিলের ৮ম বৃত্তি প্রকল্প (২০২৪-২৫) উপলক্ষে প্রকাশিত সাক্ষাৎকার সময়সূচির বিজ্ঞপ্তির সঙ্গে আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের নাম ও মোবাইল নম্বরসহ তালিকা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করায় সমালোচনার মুখে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ এপ্রিল সিরিয়াল নম্বর ১ থেকে ৩২০ এবং ২৭ এপ্রিল সিরিয়াল নম্বর ৩২১ থেকে ৫৬৩ পর্যন্ত আবেদনকারীদের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হবে। স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে সমাজকর্ম বিভাগের দ্বিতীয় তলা, সকাল ৯টা থেকে দুপুর ৩টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত।
তবে সাক্ষাৎকারের সময়সূচির পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের নাম ও মোবাইল নম্বর সম্বলিত তালিকার ছবি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্ট করায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি এবং ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে শিক্ষার্থী ও সচেতন মহল তীব্র সমালোচনা শুরু করেন।
প্রতিবাদ ও সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দ্রুত তালিকাযুক্ত ছবিগুলো সরিয়ে নেয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, “ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর প্রকাশ আমাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। এটি একাডেমিক পরিবেশে গোপনীয়তা রক্ষার চরম ব্যত্যয়।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মোহাম্মদ আনুয়ারুস সালাম এ বিষয়ে বলেন, “বিষয়টি আমাদের নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই তালিকাটি উইথড্র করা হয়েছে। পেইজটি আমার অধীনে হলেও তালিকাটি আমাকে দেখে পাবলিশ করতে বলা হয়। ঠিকভাবে খেয়াল না করেই এটি পোস্ট হয়েছিল, যা অবশ্যই অনুচিত হয়েছে। ভবিষ্যতে আমরা আরও সতর্ক থাকবো।”
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান সাদি মন্তব্য করেছেন, “শিক্ষার্থীদের আইডি নম্বর ব্যবহার করে তালিকা প্রকাশ করা যেত। মোবাইল নম্বরসহ এ ধরনের প্রকাশ অনুচিত এবং গোপনীয়তার লঙ্ঘন।”
ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা বিষয়টির পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের গাফিলতি এড়াতে একটি সুস্পষ্ট গোপনীয়তা নীতি প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন।
এছাড়াও, জনসংযোগ দপ্তরের ফেসবুক পেজে নিয়মিত প্রকাশিত বিভিন্ন ছবি, স্ক্যানকৃত নথিপত্রের মান, অস্পষ্ট লেখা এবং অপর্যাপ্ত তথ্য উপস্থাপন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :