জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) পার্কিং জোন থেকে সাইকেল চুরির অভিযোগ জানাতে গিয়ে রেজিস্ট্রার কতৃক শিক্ষার্থী হেনস্তার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শেখ গিয়াস উদ্দিনের পদত্যাগ দাবি করছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার রেজিস্ট্রার কতৃক শিক্ষার্থী হেনস্থার বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে আসলে শিক্ষার্থীরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ চেয়ে জবির একাধিক শিক্ষার্থীর ফেইসবুক পোস্ট টাইমলাইনে দেখা যায়।
রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী তওসিব মাহমুদ সোহান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া এক পোস্টে বলেন, শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব যে রেজিস্ট্রার নিতে চায় না, সেই রেজিস্ট্রার শিক্ষার্থীদেরও প্রয়োজন নাই। জবি রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ চাই।
নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী তাকরিম আহমেদ ফেইসবুক পোস্টে লিখেছেন, জবির রেজিস্ট্রাররের পদত্যাগ চাই। এরকম আচরণের একজন মানুষ কীভাবে প্রশাসনে আছে, বুঝে পাই না। শিক্ষক নামেরও কলঙ্ক। সবসময় শিক্ষার্থীদের সাথে খারাপ আচরণ করে আসছে। এরকম একজনকে আমাদের গার্ডিয়ান হিসেবে মোটেই চাই না।
জবি ছাত্রঅধিকার পরিষদের সভাপতি এ. কে. এম. রাকিব লেখেন, রেজিস্ট্রার মহোদয়ের দাম্ভিকতার পরিচয় আমরা অনেক আগেই পেয়েছি। তিনি কতটা শিক্ষার্থীবান্ধব, তা তার কথাবার্তাই স্পষ্টভাবে প্রকাশ করে। আজ তিনি শিক্ষার্থীদের হেনস্তা করে নিজের ক্ষমতার দম্ভ দেখিয়েছেন।
রেজিস্ট্রার অফিসে গিয়ে ড. গিয়াস উদ্দিনের দ্বারা হেনস্তা ও দায়িত্বহীনতা আচরণের অভিযোগ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র নওশীন নওয়ার জয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখেন, আরও ছ`মাস আগের কথা। হল আর আবাসন সংক্রান্ত ব্যাপারে ওনার কাছে যাওয়া হয়েছিলো। ওনার ওইদিনের দুর্ব্যবহারের পর রেজিস্ট্রার অফিসে আর যাওয়ার রুচি কখনও হয়নি। অবাক হয়েছিলাম, পুরো প্রশাসনের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের মধ্যে এমন উদ্ভট ব্যবহারের মানুষ একজনও নেই।
প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিসে শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনের গ্যারেজ থেকে গত তিন মাসে একাধিক সাইকেল চুরির ঘটনা নিয়ে লিখিত অভিযোগ দিতে যান ইভান তাহসীভসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী। এসময় রেজিস্ট্রার এই বিষয়ের সমাধান না করে উল্টো অভিযোগকারীর উপর চড়াও হয়ে রুম থেকে বের করে দেন। তিনি বলেন, "আমরা শিক্ষার্থীদের মালামালের নিরাপত্তা দিতে পারবো না, মালামাল শিক্ষার্থীদের নিজ দায়িত্বে রাখতে হবে। শিক্ষার্থীরা কি খাবে, কোথায় থাকবে? এই দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের না। শিক্ষার্থীদের কিছু হলে এর দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয়ের না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এর দায়ভার নিতে পারবে না। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে রেজিস্ট্রার বলেন, "বের হয়ে যাও, ওকে বের করে দাও। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কেনো পড়তে আসো এলাকার কলেজে পড়লেই তো পারতে।"
একুশে সংবাদ//জবি.প্র//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :