ঈদের ছুটি শেষে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছেন সবাই। তবে এখনও পুরোপুরি ফেরেনি ঢাকার চিরচেনা রূপ। তাই রাজধানীর বাজারেও নেই সেই হারে কেনাবেচা। বাজার এখনও কিছুটা ঢিলেঢালাভাবে চলছে।
শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মগবাজার, শ্যামবাজার, শনির আখড়া, মিরপুর, যাত্রাবাড়ীতে দেখা গেছে দোকানপাট সব খোলেনি। বাজারে পণ্যের সরবরাহ কম, ক্রেতারাও বাজারমুখী হননি এবং বাজারে সবজির দাম কমছে। অপরদিকে বেড়েছে ডিমের দাম তবে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে মুরগি।
সবজির বাজারে দেখা গেছে, ঢেঁড়স, পটল, চিচিঙ্গা, ধুন্দুল ও ঝিঙে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। বেগুনের কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা। টমেটোর কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। মাঝারি আকারের প্রতিটি লাউ ও চালকুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। সবজির মধ্যে কেবল কাঁকরোল ও শসার দাম বেশি। কাঁকরোল ১০০ থেকে ১১০ টাকা এবং শসা মানভেদে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ঈদের পরে মানভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। পাইকারি বাজারে বিক্রি হয় ৩৬ থেকে ৪২ টাকা কেজি দরে। আর আলুর দাম ৫-৭ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা কেজিতে।
আলু পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদ শেষে আমদানি ও পাইকারি বাজারের কার্যক্রম স্বাভাবিক না হওয়ায় আড়তে মালের সংকট রয়েছে। আবার সব দোকান না খোলায় পাইকারও কম। সেজন্য পণ্যের দাম বাড়ছে।
এদিকে, ঈদের দুই দিন আগে থেকে রাজধানীর বাজারে ব্রয়লার মুরগি ২৬০ থেকে ২৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। সোনালি মুরগি বিক্রি হয়েছিল ৩৮০ থেকে ৩৯০ টাকা কেজি দরে। ঈদের দু-তিন দিন পর পর্যন্ত রাজধানীর বাজারগুলোয় এই বাড়তি দামেই বিক্রি হয়েছে মুরগি। তবে বুধবার থেকে মুরগির দাম কমেছে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা।
অপরদিকে, ঈদের পর নতুন করে বেড়েছে ডিমের দাম। ফার্মের বাদামি রঙের ডিমের ডজন ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা এবং সাদা রঙের ডিম ১১৫ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে এই দুই ধরনের ডিমের দাম ডজনে পাঁচ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। তবে হাঁস ও দেশি মুরগির ডিমের দাম বাড়েনি।
বাজারে গরুর মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়। তবে কিছু কিছু দোকানে ৭৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। অন্যদিকে খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০০ থেকে ১২০০ টাকায়।
মাছের বাজারে দেখা গেছে, চাষের কই মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়, পাঙাস মাছ প্রতি কেজি ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, তেলাপিয়া প্রতি কেজি ২২০ থেকে ২৬০ টাকা, পাবদা মাছ প্রতি কেজি ৩৩০ থেকে ৩৫০ টাকা, রুই মাছ প্রতি কেজি ২৮০ থেকে ৩২০ টাকা, শিং মাছ প্রতি কেজি ৪৫০ থেকে ৪৮০ টাকা, ট্যাংরা মাছ প্রতি কেজি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, কাতল প্রতি কেজি ৩২০ টাকা, চিংড়ি প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, শোল মাছ প্রতি কেজি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
একুশে সংবাদ/ব.ট.প্র/জাহাঙ্গীর
আপনার মতামত লিখুন :