বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯৩ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৯ আগস্ট) জাতীয় জাদুঘর এর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তনে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি (এমপি) এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শবনম জাহান শিলা এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী এড. কামরুল ইসলাম (এমপি)।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী কে এম খালিদ (এমপি)।
প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলা একাডেমির চেয়ারম্যান সেলিনা হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য এড. কামরুল ইসলাম (এমপি) বলেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব তার নিজের সম্মিলিত টাকা বঙ্গবন্ধুর হাতে তুলে দিয়ে দিয়েছেন দেশের মানুষের অধিকার আদায়ে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর অবদানের পিছনে, বঙ্গমাতার অবদান সব চেয়ে বেশি।
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে তিনি বলেন, অনেকেই বলছেন আজ বিএনপির সাথে দমনপিরন চালাচ্ছি, গনতন্ত্র দেখাচ্ছি না বলছেন, এক বার চিন্তাকরুন ২০০১-৭ পর্যন্ত তারা আমাদের উপর কি অত্যাচার চালিয়েছে। এখন তারা সাধারণ মানুষের উপর হামলা, পুলিশের উপর হামলা, সরকারি জানমালের উপর হামলা চালাচ্ছে, পুলিশ কি করবে, বসে থাকবে। শক্ত হাতে তা প্রতিরোধ করতে হবে।
তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র চলছে আমাদের অর্জনকে ধংস করে দেওয়ার জন্য। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। দেশি-বিদেশি সব ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার জন্য। আবারও শেখ হাসিনাকে নির্বাচনে জয়ী করতে হবে। প্রতিটি ঘরে ঘরে শেখ হাসিনার পক্ষে ভোট চাইতে হবে। শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনা নিজেই। তার কোন বিকল্প নাই। আসুন সবাই মিলে শপথ করি আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনতেই হবে।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী কে এম খালিদ (এমপি) বলেন, এই আগষ্ট মাস আমাদের অনেক কিছু কেড়ে নিয়েছে, যা অনেক কষ্টের, যা মেনে নেওয়া যায় না। জাতির পিতার অবর্তমানে সব কিছু সামলেছেন বঙ্গমাতা। তার অবদানে আজ আমরা বাংলাদেশ পেয়েছি। এতো কষ্টের, ত্যাগের এই বাংলাদেশে এখনো জিয়াউর রহমানের স্লোগান হয়, এটা মেনে নিতে কষ্ট হয়।
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নেতৃবৃন্দ ও কর্মীরা।
একুশে সংবাদ/রাফি/বাবু /জাহা
আপনার মতামত লিখুন :