ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে গার্মেন্টস শ্রমিকদের আন্দোলনে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মিরপুর ১ নম্বর এলাকা। লাঠিসোঁটা হাতে অবস্থান নিয়েছেন তারা। এসময় বন্ধ হয়ে যায় যানচলাচল।
বুধবার (১ নভেম্বর) মিরপুর ১ নম্বর এলাকায় এমন চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, কয়েকশ শ্রমিক লাঠি হাতে মিরপুর ১ নম্বর গোলচত্বরে অবস্থান করছেন। টেকনিক্যাল থেকে আসা সব ধরনের যানবাহন ঘুরিয়ে দিচ্ছেন তারা। শ্রমিক আন্দোলনের ভয়ে আশপাশের ব্যবসায়ীরাও তাদের দোকানপাট বন্ধ করে দিয়েছেন। এ ছাড়া ক্যামেরা দেখলে তেড়ে আসছেন শ্রমিকরা।
আন্দোলনকারী শ্রমিকরা জানান, গতকাল সরকারদলীয় লোকজন তাদের ওপর হামলা করেছে। এতে একজন শ্রমিক মারা গেছেন বলে তারা অভিযোগ করেন।
গার্মেন্টস শ্রমিকদের একজন জানান, শ্রমিকদের একটি বড় অংশ মিরপুর ১১ নম্বরে অবস্থান নিয়েছে। এখন তারা সেখানেই জড়ো হবেন। মিরপুর ১ নম্বর এলাকা ছাড়াও ১০, ১১, ১৩ ও ১৪ নম্বর এলাকায় শ্রমিক বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে।
আন্দোলনে আসা এক শ্রমিক জানান, মঙ্গলবার শ্রমিকদের ওপর হামলার ঘটনায় বিচারের দাবিতে তারা আবারও আন্দোলনের নেমেছে। সকাল আটটা থেকে আন্দোলন শুরু করেছে শ্রমিকরা। বুধবার প্রথমে পূরবী সিনেমা হলের সামনে থেকে তারা যায় মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বর সেখান থেকে যায় মিরপুর ১৩ নম্বর ও কচুক্ষেত বাসস্ট্যান্ডে আসে। এসব এলাকা থেকে বিভিন্ন গার্মেন্টসের শ্রমিকদের নামিয়ে নিয়ে আসে আন্দোলনকারীরা। তারা এখন অবস্থান করছে মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বর ও পূরবী সিনেমা হলের সামনে। তারা কোনো ভাঙচুর করছে না শুধুমাত্র রাস্তা অবরোধ করে রেখেছে।
এর আগে সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত পোশাক শ্রমিকরা মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরে অবস্থান নেয়। সেসময় ওই এলাকায় যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। পরে সকাল ৯টায় মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বর থেকে ১৪ নম্বরের দিকে চলে যায় তারা। এ সময় কয়েকটি গার্মেন্টসের ফটক ভাঙচুর করতে দেখা যায় শ্রমিকদের।
একুশে সনবাদ/ঢ.প.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :