শুষ্ক মৌসুমে নালা-নর্দমা, ডোবা, খাল ও জলাশয়ের জলজ আগাছা এবং ময়লা-আবর্জনা মশার উর্বর প্রজননস্থল হিসেবে কাজ করে। কিউলেক্স মশার উপদ্রবের কারণে নগরবাসীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা যেন ব্যাঘাত সৃষ্টি না করে সেই লক্ষ্যে একযোগে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতাধীন এলাকার সকল নালা-নর্দমা, ডোবা, খাল ও জলাশয় পরিষ্কার করে রক্ষণাবেক্ষনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। গত ২৬ নভেম্বর ২০২৩ রোববার থেকে ডিএনসিসির দশটি অঞ্চলের মশক কর্মী ও পরিচ্ছন্ন কর্মীরা একযোগে সকল খাল, নালা-নর্দমা, ডোবা ও জলাশয় পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু করেছে।
ইতিমধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকার অবস্থিত ডিএনসিসি, বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যাক্তি মালিকানাধীন অনেকগুলো নালা, ডোবা, খাল ও জলাশয় পরিষ্কার করা হয়েছে। বড় খাল বিশেষ করে লাউতলা খাল, রুপনগর খাল, সূতিভোলা খালের কচুরিপানা দুটি ফ্লোটিং মেশিন দিয়ে অপসারণ করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি ওয়ার্ডের ছোট ও মাঝারি আকারের ডোবা ও জলাশয়ে মশক কর্মী ও পরিচ্ছন্ন কর্মীর পরিষ্কার কার্যক্রম করছে। সকল জলাশয় পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত কার্যক্রম চলমান থাকবে।
এই বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজা বলেন, `শুষ্ক মৌসুমে কিউলেক্স মশার উৎপাত বেড়ে যায়। মশার যেহেতু নির্দিষ্ট বাউন্ডারি নেই তাই শুধু ডিএনসিসির মালিকানাধীন খাল ও জলাশয় পরিষ্কার করলে মশা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। তাই নগরবাসীকে স্বস্তি দিতে মেয়র মহোদয়ের নির্দেশে খাল, ডোবা ও জলাশয়ের মালিক সরকারি প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যক্তি হলেও আমরা ডিএনসিসি থেকে পরিষ্কারের উদ্যোগ নিয়েছি। তবে সবাইকে নিজেদের খাল, জলাশয় ও ডোবা পরিষ্কার করতে হবে। ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব নিতে হবে। জলাশয়গুলোতে প্রচুর পরিমানে কচুরিপানা। এই কচুরিপানা পরিষ্কার না করলে আমরা সিটি কর্পোরেশন থেকে যতই মশার ওষুধ দেই না কেন মশা নিধন করা সম্ভব না। তাই কচুরিপানা পরিষ্কার করার বিশেষ এই কার্যক্রম নেয়া হয়েছে।`
মোঃ সেলিম রেজা আরও বলেন, `শুষ্ক মৌসুম শুরু হলেও এখনো ডেঙ্গুর প্রকোপ রয়েছে। তাই শুধু কিউলেক্স মশা নয়, এডিস মশা নিধনেও সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। বাসাবাড়ির আশপাশ পরিস্কার রাখাসহ কোথাও যেন পানি জমে না থাকে এ বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।`
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :