আনন্দঘন পরিবেশে, সকলের অংশ গ্রহণে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেল শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের ১৭তম দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সকলের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা গেছে। জমে উঠেছে নির্বাচনী আমেজ।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সংগঠনটির অফিসে এই নির্বাচনের আয়োজন করা হয়। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে ভোট গ্রহণ। মোট ভোটার সংখ্যা ২৬৭ জন। দুটি পূর্ণ প্যানেলে ১৯ জন করে ৩৮ জন ও একটি প্যানেলে ২ জন সহ ৪০ জন প্রার্থী এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচনে দুলাল-আলম পরিষদের ইলিশ মাছ মার্কায় সভাপতি পদে দুলাল চন্দ্র মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহ্ আলম, সি. সহ-সভাপতি সেলিম জাহাঙ্গীর, সহ-সভাপতি জুলিয়েছ ডি সিলভা, মোঃ আকছার হোসেন, মোঃ শফিকুল ইসলাম, কহিনুর বেগম, আইন সম্পাদক খায়রুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক তানভীর আহম্মদ সিদ্দিকী, সহকারী সম্পাদক মোঃ আবু বকর ছিদ্দিক, মোঃ মাইনউদ্দিন মিন, মহিলা সম্পাদিকা ইলোরা আগ্ৰেস স্রং, সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদুজ্জামান, দপ্তর সম্পাদক মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক নুরুল আলম, অর্থ সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ শাহীন মিয়া, ক্রিয়া সম্পাদক মোঃ সাদেকুর রহমান ও স্বাস্থ্য সম্পাদক মোঃ জাহিদ হোসেন প্রার্থী হিসেবে প্রতিযোগিতা করছেন।
নির্বাচনে আজম-শাহজাহান পরিষদের বটগাছ মার্কায় সভাপতি পদে মোঃ আজম খান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাহান আবেদীন, সি. সহ-সভাপতি মোঃ মোমেন হোসেন খান, সহ-সভাপতি রোমিও বেনেডিক্ট গোমেজ, মোঃ নাজমুল হক, মোঃ সাইফুল ইসলাম খান, মোঃ রাকিব আহম্মেদ, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, সহকারী সম্পাদক আব্দুর রহিম, কাজী মোঃ লিয়াকত আলী, অর্থ সম্পাদক আলমাস খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ইসলামুল আমিন, দপ্তর সম্পাদক আবদুল হান্নান, ক্রিয়া সম্পাদক মোঃ আতাউর রহমান, প্রচার সম্পাদক আব্দুর রহমান মোল্যা, মহিলা সম্পাদিকা আলিমা খাতুন, আইন সম্পাদক ফেরদৌসী শহিদ, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মামুন ও স্বাস্থ্য সম্পাদক মঞ্জু বেগম প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
শ্রমিক মালিক ঐক্য গড়ি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি স্লোগানে আকবর-নজরুল পরিষদের ছাতা মার্কায় সভাপতি প্রার্থী সৈয়দ শওকত আকবর ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এসময় তিন প্যানেলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক একুশে সংবাদকে বলেন, খুবই সুন্দর একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমরা প্রার্থী সবাই ভাই ভাই। যেই জয়ী হবে তার সাথে এক হয়ে এই ইউনিয়নের উন্নয়নে কাজ করব। এছাড়াও চাকুরীর নিরাপত্তা, পে-স্কেল, শূন্যপদ পূরন, অবসর ভাতা, অর্জিত ছুটি, পার্কিং সুবিধা, ওভার টাইম, উৎযাপন ভাতা, উৎসব বোনাস, অনকল শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি, যাতায়াত ভাতা, শিক্ষা সহায়ক ভাতা, জাতীয় পেনশন স্কীম, বাৎসরিক চিকিৎসা অনুদান, বিক্রয়ের উপর কমিশন চালু, পারিবারিক চিকিৎসা ভাতা, পিতৃত্বকালীন ছুটি, চিকিৎসা পরিসেবা, গ্রেড চেঞ্জ, বিমান বাংলাদেশের সুযোগে সুবিধা, মেয়েদের বিশেষ সুযোগ সুবিধা, ধর্মীয় সুযোগ সুবিধা, পোষ্যদের স্থায়ী করন, দীর্ঘ চাকুরী জীবন, চাকুরী স্থায়ী করন ও প্রশিক্ষণ সহ নানাবিধ উন্নয়নে কাজ করব।
একাধিক ভোটার বলেন, নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করা সকল প্রার্থী আমাদের খুব কাছের মানুষ। সবাইকে তো জয়ী করতে পারবোনা তবে যেই জয়ী হবে সে সকলকে নিয়ে এই ইউনিয়নের উন্নয়নে কাজ করবে এটা আমাদের প্রত্যাশা। ইউনিয়নের সকল সদস্যের সুখে-দুঃখে পাশে থাকবে এটাই আমাদের কাম্য।
এই নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার খন্দকার মিজানুর রহমান বলেন, প্রার্থীরা সকলেই সকলের প্রতি আন্তরিক। কোন বিশৃঙ্খলা হওয়ার সুযোগ নেই। নির্বাচনের সকল নিয়ম-কানুন মেনে ভোটারদের কাছে ভোট চাইছে প্রার্থীরা। কোন ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায় নি। এই নির্বাচনকে সুষ্ঠ করতে আরও আট জন নির্বাচন কমিশনার নিযুক্ত আছেন।
একুশে সংবাদ/রাফি/বাবু
আপনার মতামত লিখুন :