`একুশ মানে মাথা নত না করা। একুশ মানেই পরিবর্তন এবং আগামীর সম্ভাবনাকে আজকেই মেনে নেওয়া। শোককে শক্তিতে রুপান্তরিত করা।একুশের শোক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের শক্তি। সারাদেশের প্রকৌশলীরা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে ঐক্যবদ্ধ`।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে দেশের সবচেয়ে প্রাচীন পেশাজীবী প্রতিষ্ঠান ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)`র পক্ষ জাতীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করে প্রকৌশলী নেতারা এইসব কথা বলেন।
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের প্রেসিডেন্ট ও জাতীয় সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর বলেন, ভাষা আন্দোলনের জন্য রক্ত দিয়েছে পৃথিবীতে একমাত্র জাতি বাংলাদেশীরা। সেই রক্তের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জনকে করেছে আরও গতিময়। একুশের শিক্ষা বাংলাদেশের সকল আন্দোল-সংগ্রামে কাজে লেগেছে। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে একুশের শোক শক্তিতে রুপান্তরিত হবে।
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের মুখ্য পাত্র ও সম্মানি সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এস.এম. মনজুরুল হক মঞ্জু বলেন, দেশের প্রকৌশলী সমাজ প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। ভাষা আন্দোলনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান অনস্বীকার্য। বর্তমানে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় সংকল্পে এগিয়ে যাবে।
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের মহাসচিব প্রকৌশলী মোঃ শাহাদাৎ হোসেন শীবলু বলেন, `ভাষা আন্দোলন স্মরণ করে দেয় জাতি হিসেবে আমরা শক্তিশালী। আমাদের প্রথম বিজয়। এই আন্দোলনের সকল বীর সেনানীরাই আমাদের মাঝে সাহস,শক্তি ও অনুপ্রেরণা। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে একুশের চেতনা কাজে লাগবে`
এই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আইইবির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. নুরুজ্জামান, সহকারী সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী অমিত কুমার চক্রবর্তী, ইঞ্জিনিয়ার শেখ তাজুল ইসলাম তুহিন, আইইবি ঢাকা সেন্টারের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হোসাইন, ভাইস চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাকসুদ কামালসহ আইইবির বিভিন্ন বিভাগ ও সেন্টারের প্রকৌশলী নেতারা৷
উল্লেখ্য যে, শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আইইবি চত্ত্বরে ভাষা শহীদের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া পরিচালনা হয়।
একুশে সংবাদ/রাফি/বাবু/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :