রাজধানীর বাড্ডা থেকে বাবা-ছেলের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার রাতে বাড্ডা থানার বেরাইদ জেন পাড়ার একটি বাসার নিচতলা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
গুলশান বিভাগের বাড্ডার জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার রাজন কুমার সাহা বলেন, রাতে মোবাইলে কোনো সাড়া না পেয়ে পাশের মুদি দোকানদার হারুন বাসায় এসে দরজা বন্ধ পেয়ে ডাকাডাকি করেন। তবে কোনো সাড়া না পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। ভেতরে ছেলে রাকিব হোসেনকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান, বিছানায় বাবা গিয়াসউদ্দিনকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান তারা। রাকিব হোসেন পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। আর গিয়াসউদ্দিন পেশায় স্কুল শিক্ষক। উপস্থিত জনতা দ্রুত বিষয়টি থানায় জানালে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
রাজেন কুমার সাহা আরও বলেন, ‘তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে আমাদের মনে হয়েছে, ছেলে রাকিব হোসেন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। সেটি দেখার পর বাবা গিয়াস উদ্দিন হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
রাজধানী যাত্রাবাড়ীর ৫৩ মদিনা টাওয়ার মিলেনিয়াম নার্সিং কলেজ থেকে পল্লব হাওলাদার (১৯) নামের এক ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টায় এ ঘটনা ঘটে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল খালেক বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে যাত্রাবাড়ির ৫৩ মদিনা টাওয়ার মিলেনিয়াম নার্সিং কলেজে এসে ভবনের ষষ্ঠতলায় সিঁড়ির রেলিংয়ের সঙ্গে রশি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করি। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য আজ সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, পল্লব হাওলাদার গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। অন্য কোনো কারণ রয়েছে কিনা তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে।’
পল্লব হাওলাদারের চাচা বিধান হাওলাদার বলেন, ‘দুইবছর আগে আমার ভাতিজা যাত্রাবাড়ীর মিলিনিয়াম নার্সিং কলেজে নার্সিংয়ে ডিপ্লোমা করতে ভর্তি হয়েছিল। আজ সকালে কলেজ কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়েছি পল্লব গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে কি কারণে সে আত্মহত্যা করেছে তা এখনো জানতে পাইনি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি বিষয়টি তদন্ত করে মৃত্যুর কারণ বের করার দাবি জানাই।’
পল্লব হাওলাদার গোপালগঞ্জ কোটালিপাড়া উপজেলায় সুথা গ্রামের বাসিন্দা। দুই ভাই মধ্যে তিনি ছিলেন বড়। বর্তমানে ৫৩ যাত্রাবাড়ী মদিনা টাওয়ারে ঐ নার্সিং কলেজের ঐ ভবনের হোস্টেলেই থাকতেন।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :