রাজধানীর ভাষানটেক কালভার্ট রোডে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে মা-বাবা ও নানির পর ছোট্ট লামিয়াও (৭) মারা গেছে।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে শরীরের ৫৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। এই ঘটনায় এখনও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে লামিয়ার বড় বোন ও ভাই।
বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ভাষানটেকের ঘটনায় দগ্ধ লামিয়া সকাল সাড়ে ৬টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। তার শরীরের ৫৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এর আগে তার মা সূর্য বানু (৩০), বাবা লিটন (৪৮) ও নানী মেহেরুন্নেছা (৮০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
তিনি আরও জানান, এই ঘটনায় লামিয়ার বড় বোন লিজা (১৮) ৩০ শতাংশ দগ্ধ ও ভাই সুজন (৮) ৪৩ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ভর্তি রয়েছে। তাদের অবস্থাও গুরুতর।
গত শুক্রবার (১২ এপ্রিল) ভোর ৪টার দিকে ভাষানটেক নতুন বাজার কালভার্ট রোডের ৪/১৩ নম্বর বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে দগ্ধ হন মো. লিটন, তার স্ত্রী সূর্য বানু, তাদের ৩ সন্তান লিজা, লামিয়া, সুজন ও লিটনের শাশুড়ি মেহরুন্নেছা।
তাদের প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া ময়না বেগম জানান, পরিবার নিয়ে কালভার্ট রোডের ২ তলা বাড়িটির নিচ তলায় ভাড়া থাকেতেন লিটন। এলাকাতেই ফার্নিচার ব্যবসা রয়েছে তার। রাতে ওই বাসায় সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোরে লিটন মশার কয়েল জালানোর জন্য দিয়াশলাই জালাতেই বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পরিবারটির ৬ জনই দগ্ধ হন।
তিনি জানান, বাসাটিতে গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে রান্না করতেন তারা। সবাই ধারণা করছেন, সিলিন্ডার থেকে লিকেজের কারণে বাসায় গ্যাস জমে ছিল। মশার কয়েলের জন্য দিয়াশলাই জালাতেই সেই গ্যাস থেকেই এই বিস্ফোরণ ঘটে।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :