কমেছে বৃষ্টি কমেনি জনভোগান্তি রাজধানী ঢাকায়। ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব কমেছে কিন্তু ভোগান্তি পিছু ছাড়েনি রাজধানীবাসীর। অনেক এলাকা থেকে পানি নামেনি। জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ থেকে মুক্তি না মেলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকে। ঝড়ে উপড়ে পড়া গাছ আর খুঁড়ে রাখা সড়ক, নাগরিক ভোগান্তি বাড়িয়েছে কয়েকগুণ।
ঢাকা ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবমুক্ত হয় মঙ্গলবার ২৮ মে ভোরেই। সকাল ৬টার দিকে বৃষ্টি বন্ধ হয়, মেঘমুক্ত আকাশে দেখা মেলে রোদেরও। তবে ঝড় চলে গেলেও ভোগান্তি পিছু ছাড়েনি নগরবাসীর।
রাতে জমে থাকা বৃষ্টির পানি আটকে থাকে দুপুর পর্যন্ত। কোথাও হাঁটু পরিমাণ আবার কোথাও কোমর পরিমাণ পানি ভেঙে কাজে নামেন নগরবাসী। বৃষ্টি আর ড্রেনের পানি মিলেমিশে সব একাকার। কোথায় রাস্তা কোথায় নালা- বোঝার উপায় নেই কোনো। রাজধানীর অনেক এলাকায়ই বাসিন্দাদের পড়তে হয় এমন তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখে।
অপরিচ্ছন্ন জীবণুযুক্ত পানি থেকে বাঁচতে অনেকে হাঁটার পথও পার হোন রিকশায়। নাগরিকদের অভিযোগ এমন ভোগান্তির দায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের নয়, বৃষ্টি হলেই এমন করুণ পরিণতি তাদের নিত্যসঙ্গী।
জলাবদ্ধতার পাশাপাশি খুঁড়ে রাখা রাস্তাও ভোগান্তি বাড়ায় মানুষের। সেই সঙ্গে ঝড়ে উপড়ে পড়া গাছও। তবে এসব সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে মাঠে ছিলেন সিটি করপোরেশনের কর্মীরা।
২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ২২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে জানিয়ে আবহাওয়া অফিস বলছে, দুর্বল রেমালের পরবর্তী গন্তব্য আসাম।
একুশে সংবাদ/ সম.টি./ এসএডি
আপনার মতামত লিখুন :