অভিযোগের তীর প্রশাসন ও স্থানীয় নেতাদের দিকে সিটি কর্পোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দায় সারা জবাব
রাজধানী ঢাকাকে তিলোত্তমা ঢাকায় পরিণত করার জন্য সরকারের পরিকল্পনার কোন কমতি নেই। এলিভেটেড এক্সপ্রেস, মেট্রোরেল, ফুটওভার ব্রিজ, ক্যাপসুলেট লিফট সবই রয়েছে। অথচ একশ্রেণীর মানুষ তিলোত্তমা ঢাকাকে নোংরা করতে উঠে পড়ে লেগেছে।
রাজধানীর কাজীপাড়ায় মেইন রোডে ময়লার ভাগাড়-১
রাজধানীর কাজীপাড়ায় উপরে মেট্রো রেল, নিচে ঝক-ঝকে, তক-তকে সড়ক। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলে কতই না সুন্দর পরিবেশ। অথচ এক শ্রেণীর অবৈধ ফুটপাত দখলকারী ব্যবসায়ীরা মৌসুমী ফল এবং তরকারির ব্যবসার নামে রাজধানীকে নোংরা, অপরিচ্ছন্ন করে গড়ে তুলছেন। মৌসুমী ফল ব্যবসায়ী যেমন আমের দিনে আম, লিচুর দিনে লিচু, অথবা অন্য কোন মালামাল বিক্রি শেষ অবশিষ্ট উচ্ছিষ্টগুলো নির্দিষ্ট স্থানে না ফেলে যত্রতত্র ফেলার কারণে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। ফলে সেখান দিয়ে চলাচল করা মানুষের ভোগান্তির যেন শেষ নেই।
রাস্তার ওপরে ময়লার ভাগারের পাশ দিয়ে হেটে যাওয়া মিজানুর রহমান বলেন-
‘ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা মালামাল বিক্রি করে সেখান থেকে যত ময়লা এখানে এনে স্তুপ করার কারণে ময়লা পচে দুর্গন্ধ ছড়ায়। ফলে রাস্তা দিয়ে হাঁটা মশকিল। এই ময়লা গুলি যদি সিটি কর্পোরেশনের ভ্যানে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা হতো তাহলে আমাদেরকে এই দুর্ভোগ পোহাতে হতো না।’
ময়লার ভাগাড়ের ছবি তোলার সময় আশপাশের স্থায়ী দোকান মালিকেরা এসে তাদের অভিযোগের কথা বলতে শুরু করলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন দোকানী বলেন-
‘ময়লা আবর্জনার কারণে দুর্গন্ধে আমরা যারা এখানে স্থায়ীভাবে ব্যবসা করি তারা খুবই কষ্টের মধ্যে আছি। সিটি কর্পোরেশনের লোকেরা ঠিকমতো ময়লা না নেয়ার কারণে এগুলো পচে দুর্গন্ধ হয়ে পোকা ছড়াচ্ছে। রাস্তা দিয়ে চলাচল করা লোক নাক মুখ চেপে যাইতে হয়।’
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে জানিয়েছেন কিনা? প্রশ্ন করলে উত্তরে তিনি বলেন- ‘কাউন্সিলরকে যখন বলি শুধু তখনই কাজ করে। পরবর্তীতে যেই-সেই। তবে এর একটি স্থায়ী সমাধান হওয়া দরকার।’ কিভাবে? জানতে চাইলে তিনি বলেন-
‘সিটি কর্পোরেশনের উচিত এখানে একটি ঢাকনাওয়ালা ময়লার বাক্স দেওয়া, যেখান থেকে প্রতিদিন এই ময়লাগুলো গাড়িতে করে নিতে পারে। তাহলে কিছুটা হলেও দুর্ভোগ লাভ হোক হবে।’
রাজধানীর কাজীপাড়ায় মেইন রোডে ময়লার ভাগাড়-২
মিরপুরের শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া হয়ে ১০ নম্বর (গোলচত্তর) পর্যন্ত যেতে এমন চিত্র বেশ কয়েকটি জায়গায় চোখে পড়বে। রাস্তার উভয় পাশে ফুটপাত দখল করা ব্যবসায়ীরা এর জন্য মূলত দায়ী, এমনটা অভিযোগ করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
শেওড়াপাড়া মেইনরোডের সাথে বসবাসকারী বাড়ির মালিক জসীমউদ্দীন বলেন,
‘আমার বাড়ির সামনে হকারদের বসতে নিষেধ করলেও তারা শোনে না। উল্টা আমাদেরকে কথা শোনায়। কোত্থেকে এত সাহস পায় আমরা নিজেরাও অবাক হই। প্রশাসনের কথা বললে উল্টা তারা প্রশাসনের ভয় দেখায়। মনে হয় ফুটপাত তাদের কেনা সম্পত্তি।’ আপনারা প্রশাসনের কাছে যান না কেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন- ‘লাভ নাই, শুনেছি তারাও নাকি ওদের কাছ থেকে টাকা খায়।’
আপনার মতামত লিখুন :