রাজধানীর খিলক্ষেত থানাধীন বনরূপা আবাসিক এলাকার বাগানবাড়িতে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগে সাত জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৮ জুন) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। স্বামীকে মুক্তিপণের টাকা আনতে পাঠিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মূলহোতা সুমন, তার সহযোগী পার্থ, হিমেল, রবিন, টুটুল, হৃদয় ও নুরু।
শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় খিলক্ষেত থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী ওই নারী।
ডিএমপির গুলশান বিভাগের ক্যান্টনমেন্ট জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) সাজ্জাদ ইবনে রায়হান বলেন, ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে সাত আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, সাভারের বলিয়াপুর বাজার এলাকার বাসিন্দা ওই গৃহবধূ বেসরকারি চাকরিজীবী। শুক্রবার সন্ধ্যায় তার স্বামীকে নিয়ে বিমানবন্দর থানাধীন কাওলা বাজারে এক পরিচিত বোনের বাসায় যান।
বোনের বাসা থেকে রাত সাড়ে ৮টায় বের হয়ে স্বামীর সঙ্গে হাঁটতে হাঁটতে খিলক্ষেত থানাধীন বনরূপা যাত্রী ছাউনির সামনে যান। রাত সাড়ে ৯টায় তাদের পূর্ব পরিচিত সুমনসহ অজ্ঞাতনামা ৩ জন রাস্তা পার হয় এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩ জন অটোযোগে এসে ভুক্তভোগীকে বলে ‘আপনার সঙ্গে কথা আছে। এখানে কথা বললে অন্য ছেলেরা আপনাদের মারপিট করতে পারে, আপনারা আমাদের সঙ্গে আসেন’। তখন ভুক্তভোগী স্বামীকে নিয়ে তাদের সঙ্গে খিলক্ষেত থানাধীন বনরূপা আবাসিক এলাকার বাগান বাড়িতে যান।
মামলার এজাহারে আরও বলা হয়েছে, ভুক্তভোগীর স্বামীর কাছ থেকে একটি সিমফনি বাটন মোবাইল ফোন ও নগদ প্রায় ৫ হাজার টাকা নিয়ে নেয় অভিযুক্তরা।
বিবাদীরা তার স্বামীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মুক্তিপণ বাবদ ৭০ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে ভুক্তভোগীকে ছাড়বে না বলে আটকে রাখা হয়।
এ সময় তার স্বামীকে ছেড়ে দেয়। পরে ভুক্তভোগীর স্বামী মুক্তিপণের টাকা আনার জন্য রাত ১২টায় চলে যান। রাত ৩টার দিকে বাগানবাড়িতে আসামিরা ভুক্তভোগীকে মারপিট করে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এরপর ভোর ৫টার দিকে ওই নারীকে ফেলে রেখে চলে যায়।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :