- ট্রাফিক বিভাগের তৎপরতা বেড়েছে
- সড়কের দুই পাশে অবৈধ পার্কিং বন্ধ
- আইন না মানলে দেওয়া হচ্ছে মামলা
- Traffic Gulshan Division ফেইজবুক পেইজে মনিটরিং
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের তৎপরতায় মহাখালী বাসস্ট্যান্ড এলাকা ঘিরে সড়কে চিরচেনা যানজটের এখন আর চোঁখে পড়ছেনা খুব একটা। সড়কের দুই পাশে অবৈধ পার্কিং বন্ধ, যত্রতত্র গাড়ি থামানো নিয়ন্ত্রণের ফলে এ সড়কের গতি বেড়েছে।
এ গতি অব্যাহত রাখতে সার্বক্ষণিক মাঠে থেকে দায়িত্ব পালন করছেন গুলশান ট্রাফিক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও। ট্রাফিক বিভাগ জানায়, যত্রতত্র বাস দাঁড়ানো ও যাত্রী ওঠানো-নামানো বন্ধে চালকদের এখন সতর্ক করা হচ্ছে। না মানলে দেওয়া হচ্ছে মামলা।
রবিবার (৩০ জুন) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টার্মিনালের সামনে কাজ করছেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। আগে মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনের সড়কের দুই পাশেই লেন দখল করে বাস পার্ক করে রাখা হতো। এখন তা নেই। বাস থামানো মাত্রই ট্রাফিক সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক সদস্যরা হুঁশিয়ারিতে সরিয়ে দিচ্ছেন।
টার্মিনালের সামনে মূল সড়কে আগে যেখানে দুই সারিতে বাস দাড় করিয়ে রাখা হত, এখন সেখানে লাইন টেনে দেয়া হয়েছে। দূরপাল্লার গাড়িগুলে যাতে লাইন দিয়ে রাস্তায় বের হতে পারে তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর ফলে সড়কে শ্রীঙ্খলা যেমন ফিরবে, তেমনি কমবে জ্যাম। ভোগান্তি কমাতে ট্রাফিক গুলশান বিভাগে এ পদক্ষেকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।
মহাখালী টার্মিনালকেন্দ্রিক যানজটের কারণগুলোর মধ্যে- টার্মিনালে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত বাস, টার্মিনালের ইন গেট ও আউট গেটে ব্যবস্থাপনার অভাব, টার্মিনালের সামনে অপ্রয়োজনীয় ইউটার্ন, সীমিত এলাকায় অতিরিক্ত তেল ও গ্যাসের পাম্প, এক্সপ্রেসওয়ে থেকে মহাখালীতে নামার র্যাম্প স্থাপন। যত্রতত্র যাত্রী ওঠা-নামা।
পথচারী হাসান হাফিজ বলেন-
‘বিগত তিন-চার মাস আগেও মহাখালীর এই রাস্তায় ঘন্টার পর ঘন্টা জ্যামে পড়ে থাকতে হতো। রোজার ঈদের পর থেকে দেখতেছি কিছুটা সচল রয়েছে এই রাস্তাটা। বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটাই ভালো। এরকম পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে সাধারণ মানুষ চলাচল করে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন,’ এ ব্যাপারে ট্রাফিক পুলিশকে ধন্যবাদ দিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে মহাখালী ট্রাফিক জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) আরিফুর রহমান রনি জানান,
‘সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলায় সড়ক পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। বাস বে গুলো সক্রিয় করা হয়েছে। যত্রতত্র পার্কিং ও যাত্রী ওঠানো-নামানো সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা হয়েছে। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, বাস মালিক-শ্রমিকেরা আমাদেরকে সহযোগিতা করলে কাজগুলো আরো সহজ হবে।’
উল্লেখ্য, ট্রাফিক গুলশান ডিভিশনের একটি ফেসবুক পেজ (Traffic Gulshan Division) থেকে প্রতিনিয়ত অত্র এলাকার যানজট নিরসনের জন্য বিভিন্ন আপডেট দিয়ে থাকেন। মূলত এই আপডেটের কারণে ট্রাফিক সদস্যরা যারা মাঠে রয়েছেন, তারা যানজট নিরশনে তৎপর থাকেন এবং ট্রাফিকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী যানজট নিরসনে সাধারণ মানুষের হয়ে কাজ করছেন। ফলে অত্র এলাকায় চলাচল করা যাত্রী সাধারণ এর সুফল ভোগ করছেন এটা বলাই যায়।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :