চঞ্চল হোসেন ২৭ পিতা সোলাইমান, ১১৪ কফিল উদ্দিন রোড,থানা কদমতলী, ঢাকা এর বিরুদ্ধে তার স্ত্রী খালেদা জাহান মীমকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে নারায়নগঞ্জ বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের।
অভিযোগের সূত্রে জানা গেছে, চঞ্চল হোসেনের সাথে মামলার বাদী এমরান হোসেন মিঠুর কন্যা খালেদা জাহান মীম এর বিয়ে হয় ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ খৃস্টাব্দে । বিয়ের পর থেকে চঞ্চল যৌতুকের দাবিতে প্রায়ই শারিরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিল মীমকে । এরই মাঝে চঞ্চল অন্য একটি মেয়ের সাথে লিপ্ত হয়। এনিয়ে স্বামী-স্ত্রী দুজনের মাঝে চরম অশান্তি তৈরি হয়।
২১ জুন চঞ্চল এর পরকিয়ার সূত্র ধরে জগড়ার এক পর্যায়ে চঞ্চল মীমকে প্রচন্ড মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এমসয় অপ্রকৃতস্ত অবস্থায় মীম তার বাবার বাড়িতে চলে আসে । পরদিন সে তার বাবার বাড়িতে গলায় ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করে ।
আত্মহত্যার আগে মীমের লিখে যাওয়া চিঠি: তার ভাষায়,আব্বু আমারে কিছু কইয়েন না। বকা দিয়েন না । কারণ বাসার থেকে তো যামু গা তাই আর বকা দিয়েন না। আমি কি করমু আমার মাথা কাজ করতাছে না। আর এই জায়গায় আমার আব্বু ফুপ্পিরা আর আমার মার কোনো দোষ নাই। এই জায়গা যেন আব্বু ফুপ্পি গো আর আমার মারে কোন দোষ না দেয়। আমার কপাল খারাপ তাই আজকে আমার এই অবস্থা। ভালো থাকতে চাইছি । কিন্তু আমারে ভালো থাকতে দিলো না। ও চাইছে আমারে মাইরা ও ভালো থাকবো, আব্বু ওরে ভালোথাকতে দিবেন না। কারণ ও আমারে ভালো থাকতে দেয় নাই। আমারে বাঁচতে দিলো না চঞ্চল।ওরে ও এমনে মারবেন।
একুশে সংবাদ/ হা.কা/হা.কা
আপনার মতামত লিখুন :