বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক এমপি আ.ন.ম শামসুল ইসলাম বলেছেন, দেশের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ শ্রমিক। এ বিশাল জনগোষ্ঠীর অধিকাংশের কাছে এখনো ইসলামী শ্রমনীতির দাওয়াত পৌঁছায়নি। শ্রমিক ময়দানের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দকে শ্রমিকদের গুরুত্ব অনুধাবন করে এই ময়দান সম্প্রসারণ ও মজবুত করতে হবে।
তিনি আজ ফেডারেশনের উদ্যোগে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের বাছাইকৃত দায়িত্বশীল শিক্ষাশিবির-২০২৪ এ সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান-এর সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, রাজশাহী মহানগরীর প্রধান উপদেষ্টা ড. মোঃ কেরামত আলী। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি গোলাম রব্বানী, সহ-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আলমগীর হোসাইন ও অধ্যাপক আব্দুল মতিন প্রমুখ।
আ.ন.ম শামসুল ইসলাম বলেন, আমাদের দেশের শ্রমিক সবচেয়ে বেশি জুলুমের শিকার। তাদের পরিশ্রম অনুযায়ী বেতন-ভাতা দেওয়া হয় না। শ্রমিকদের নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। যুগের পর যুগ শ্রমিকদের রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন আইন করা হলেও তার বাস্তবায়ন নেই। অধিকাংশ ক্ষেত্রে শ্রমিকরা আইনের দুয়ার পর্যন্ত যেতে পারে না। ফলে প্রতিনিয়ত তারা নির্যাতিত নিস্পেষিত হচ্ছে। এ অবস্থার পরিত্রাণ করতে হবে। আর ক্ষেত্রে এই ময়দানের দায়িত্বশীলদের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
তিনি বলেন, মজবুত সংগঠন ছাড়া শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায় করা সম্ভব না। একই সাথে বৃহত্তর এই জনগোষ্ঠীর সমর্থন ছাড়া কোনো আন্দোলন সফল হতে পারবে না। তাই ইসলামী শ্রমনীতির আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য শ্রমিকদের সমর্থন যেমন দরকার ঠিক তেমনিভাবে সংগঠন সম্প্রসারণ ও মজবুতি অর্জন করাও সময়ের দাবি। শ্রমিক নেতৃত্বকে শ্রমিক ময়দান সম্প্রসারণকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এজন্য শ্রমিক ময়দানের গুরুত্ব বিবেচনা করে ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠন গঠন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের জন্য ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠনের বিকল্প নেই। ট্রেড ইউনিয়ন করা শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার। এই অধিকার অনেকে কেড়ে নিতে চায়। তাদের সে সুযোগ দেওয়া যাবে না। মালিকরা ট্রেড ইউনিয়নের নিয়ন্ত্রক হবে না। ট্রেড ইউনিয়নের নিয়ন্ত্রণ থাকবে শ্রমিকদের হাতে। এজন্য প্রতিটি সেক্টরে ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। শ্রমিকদের অংশগ্রহণে ট্রেড ইউনিয়ন পরিচালনা করতে হবে। ট্রেড ইউনিয়নের কার্যক্রম নিয়মিত আয়োজন ও সদস্যদের সমস্যা সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :