AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

পরিবহন শ্রমিকদের জীবনে সমস্যার শেষ নেই : আ.ন.ম শামসুল ইসলাম


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৫:৪১ পিএম, ৩০ আগস্ট, ২০২৪
পরিবহন শ্রমিকদের জীবনে সমস্যার শেষ নেই : আ.ন.ম শামসুল ইসলাম

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাবেক এমপি আ.ন.ম শামসুল ইসলাম বলেছেন, পরিবহন খাতে নিয়োজিত লক্ষ লক্ষ শ্রমিকের জীবন নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত। তাদের সমস্যার শেষ নেই। পরিবহন শ্রমিকদের মানবিক মর্যাদা ও সুস্থ জীবনযাপনের জন্য এ সেক্টরের নেতাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

তিনি আজ রাজধানীর ফেনী সমিতি মিলনায়তনে বাংলাদেশ পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের উদ্যোগে জেলা/মহানগরী সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ফেডারেশনের সভাপতি কবির আহমদ-এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান-এর সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান। সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন ফেডারেশনের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক ড. সৈয়দ সরোওয়ার উদ্দিন সিদ্দিকী। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ে এমপ্লয়ীজ লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আক্তারুজ্জামান, পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সাধারণ সম্পাদক এইচ এম আতিকুর রহমান ও সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আবুল বাশার প্রমুখ।

আ.ন.ম শামসুল ইসলাম বলেন, বিগত সময়ে পরিবহন শ্রমিকদের হাতিয়ার করে আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলে রাখলেও পরিবহন শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এই সেক্টরকে তারা গুরুত্ব দেয়নি। পরিবহন শ্রমিকদের কাজের সময় সীমা নেই। তারা বিশ্রাম পায় না। তাদের খাওয়া-দাওয়া ঠিক থাকে না। রাস্তাঘাটে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দৈনন্দিন খাবার খেতে হয়। কাজের সময় ও গুরুত্ব অনুসারে বেতন-ভাতা পায় না। আমরা এই ধারার অবসান চাই। পরিবহন শ্রমিকরাও মানুষ। তাদের মানবিক মর্যাদা দিতে হবে। দেশের নাগরিক হিসাবে তাদের সকল মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি বলেন, পরিবহন শ্রমিকদের আদর্শিক সংগঠনের ছায়াতলে সংঘবদ্ধ করতে হবে। সৎ নেতৃত্ব ছাড়া তাদের জীবনের দুর্দশা দূর করা যাবে না। অতীতে দেখেছি যারা এই সেক্টর থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা চাঁদা তুলেছিল তারা কেউ করোনার সময় পরিবহন শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ায়নি। আমাদেরকে এসব চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম বন্ধ করতে হবে। প্রতিটি টার্মিনালে শ্রমিকবান্ধব নেতৃত্বে পরিচালিত হবে। অসৎ নেতারা চাঁদা তুলে শ্রমিকদের ওপর যেমন জুলুম করে ঠিক তেমনিভাবে দেশের জনগণের ওপর বাড়তি টাকার বোঝা চাপিয়ে দেয়। চাঁদাবাজি বন্ধ করা গেলে টার্মিনালে এসব নেতাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না।

অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান বলেন, পরিকল্পিতভাবে পরিবহন শ্রমিকদের হাতে মাদক তুলে দিয়ে তাদের বিপথগামী করা হচ্ছে। কারণ মাদকাসক্ত ব্যক্তির দ্বারা ধ্বংসত্মক কাজ ও দুর্নীতি করানো সহজ হয়। পরিবহন খাতের দুর্নীতি উৎখাত করতে হবে। প্রতিটি টার্মিনাল-গ্যারেজ মাদকমুক্ত করতে হবে। এজন্য শ্রমিকদের কাছে ইসলামের সুমহান দাওয়াত নিয়ে যেতে হবে। তাদেরকে নামাজ-রোজা ও পরকালীন জীবনের কথা স্মরণ করে দিতে হবে। তাদের বলতে হবে আমাদের পথ তো জান্নাতের পথ। এই অন্ধকারাচ্ছন্ন পথ শ্রমিকদের হতে পারে না। তাদেরকে আলোর পথে ফিরিয়ে আনতে হবে।

অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান বলেন, পরিবহন সেক্টরে কাজ সৃষ্টি ও অগ্রসর করার জন্য জোরালো ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। শ্রম অঙ্গনের এই বৃহত্তর অংশকে হালকাভাবে নেওয়া যাবে না। প্রতিটি টার্মিনালে ইসলামী শ্রমনীতির কর্মীদের অবস্থান সৃষ্টি করতে হবে। নতুন ট্রেড ইউনিয়ন গঠন ও পুরাতন ট্রেড ইউনিয়ন থেকে শ্রমিকদের সমর্থনের মাধ্যমে মাদকাসক্ত, চাঁদাবাজ ও অসৎ নেতৃত্ব দূর করতে হবে। পরিবহন খাত অসৎ ব্যক্তিদের হাতে থাকলে দেশের মানুষ স্বস্তি থাকে না। কেননা এই সেক্টরের সাথে দেশের প্রতিটি মানুষ ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে।

সম্মেলনে নিম্নোক্ত প্রস্তাবনা গৃহীত হয়েছে-


১.পরিবহন সকল ফেডারেশন ও ট্রেড ইউনিয়নগুলোতে শ্রমিকবান্ধব নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
২.পরিবহন শ্রমিকদের নিয়োগপত্র প্রদান করতে হবে।
৩.পরিবহন শ্রমিকদের জন্য বীমা চালু করতে হবে।
৪.পরিবহন শ্রমিকদের সন্তানদের জন্য শিক্ষা বৃত্তি চালু করতে হবে।
৫.মার্কেটগুলোতে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
৬.জেলা টার্মিনালগুলো দখল করে আধিপত্য বিস্তার করে সাধারণ শ্রমিকদের হয়রানি করে। অন্যকোনো শ্রমিক সংগঠনকে কাজ করতে দেয় না। বর্তমানে আধিপত্য বিস্তারকারীদের প্রতিহত করা হয়েছে। এখন সকল শ্রমিক সংগঠনকে অবাধে কাজ করতে সুযোগ দিতে হবে।
৭.সড়ক পরিবহন-২০১৮ সংশোধন করতে হবে।
৮.বিআরটি-এর দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে।
৯.সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার, বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তির নামে সকল প্রকার চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে।
১০.পরিবহন শ্রমিকদের ন্যূনতম মাসিক বেতন নির্ধারণ করতে হবে।
১১.দুর্ঘটনায় নিহত পরিবহন শ্রমিকের পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
১২.চালকদের লাইসেন্স পেতে সহজীকরণ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!