রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল এর ভাবমূর্তি নষ্ট করে, স্বার্থ হাসিল করার চেষ্টা করছে কতিপয় চাকরিচ্যুত কিছু কর্মচারী ও শ্রমিক। নানা ভাবে হয়রানি করে হোটেলটির সুনাম নষ্ট করার চেষ্টাও করছে বলে অভিযোগ করেন বর্তমানে কর্মরত ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ মোহসিন।
শনিবার (৩১ আগষ্ট) এই হোটেলের একটি কক্ষে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই অভিযোগ করেন তিনি।
মোঃ মোহসিন বলেন, বর্তমানে ইউনিয়নে সদস্য সংখ্যা ৩৩৫ জন। সকলেই আমরা ভালো আছি। ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা বাংলাদেশের প্রথম পাঁচ তারকা হোটেল হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত দেশের পর্যটন খাতে অত্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সহিত বিশেষ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার শ্রমিক ও কর্মচারীদের নিরলস পরিশ্রমের ফলেই বিশ্বমানের আতিথেয়তায় স্বীকৃতি স্বরূপ গত দুই বছরে তিনটি বিশ্বমানের এওয়ার্ড পুরষ্কার অর্জন করেছি। এই অর্জনকে নষ্ট করার পায়তারা করছে চাকুরীচ্যুত কিছু কর্মচারী ও শ্রমিক।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, " ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা হোটেলের দুর্নীতি, অনিয়ম ও আয়নাঘর শিরোনামে সংবাদ সম্মেলন, মিডায়া অপপ্রচার, হয়রানি, বিশৃঙ্খলা ও অযোক্তিক বিক্ষোভ করার চেষ্টা করছে সাবেক কেবিনেটের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান, কেবিনেটের কিছু সদস্য এবং তার অনুসারীরা। তার মেয়াদকালে কেবিনেটের কিছু সদস্য ও তার অনুসারীরা বিভিন্ন সময় অনৈতিক কার্যকলাপ, দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ এবং নৈতিক স্খলন এর দায়ে অভিযুক্ত হয়ে যথাযথ তদন্ত প্রক্রিয়ায় চাকুরীচ্যুত হয়েছেন। এছাড়াও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন সময়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সহ অনেক অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত ছিলেন তারা।
মোহসিন বলেন, এই অনৈতিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সকল সদস্য তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি ছাত্রসমাজ, সকল দেশবাসী ও সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি, এই রাহুর গ্রাস থেকে হোটেলটি রক্ষা করতে সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হুমায়ুন কবির সহ কেবিনেটের সকল নেতৃবৃন্দ, শ্রমিক ও কর্মচারীরা।
এর আগে, শুক্রবার (৩০ আগস্ট) সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে চাকুরিচ্যুত কর্মচারীরা অভিযোগ করেন, হোটেলের প্রশাসনিক ব্লকের দ্বিতীয় তলায় একটি নির্যাতন কক্ষ—`আয়নাঘর`—ব্যবহার করে কর্মচারীদের ইস্তফার চিঠিতে স্বাক্ষর দিতে বাধ্য করা হয়। ঐ সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীদের পক্ষে নূরুজ্জামান অভিযোগ করেন, কর্মচারীরা যখনই তাদের বকেয়া বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য পাওনা দাবি করেন, তখনই তাদের ওপর নির্যাতনের খড়গ নেমে আসে। কিছু কর্মচারীকে বকেয়া পরিশোধ না করেই কয়েক মাস ধরে কাজ করানো হচ্ছে। এমডি, জিএম, এবং এইচ আর ডিরেক্টরসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা নির্যাতন ও অনিয়মের সঙ্গে জড়িত বলে তিনি দাবি করেন। নির্যাতনের এক পর্যায়ে কিছু কর্মচারীকে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) হাতে তুলে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেন নূরুজ্জামান।
একুশে সংবাদ/রাফি/বাবু/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :