ইসলামি মহাসম্মেলনে যোগ দিতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢল নেমেছে আলেম-ওলামা ও জনতার। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ফজরের নামাজের পর থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জমায়েত হতে থাকেন তারা। ফলে সকাল থেকেই তীব্র যানজট শুরু হয়েছে। এ প্রতিবেদন লেখার সময়ও যানজটে স্থবির হয়ে আছে নগরীর বিভিন্ন সড়ক।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকাল থেকেই রাজধানীর সড়কে সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের বহনকারী বিভিন্ন যানবাহন চলতে দেখা যায়। পায়ে হেঁটেও অনেক অংশগ্রহণকারীকে সম্মেলন স্থলের দিকে যেতে দেখা গেছে। সম্মেলনে আসা ব্যক্তিদের ভিড় ছিল মেট্রোরেলেও। ফলে বাড়তি চাপ পড়ে মেট্রোরেলে।
সকাল পৌনে আটটায় বের হয়ে মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে শুরু হয় যানজট, ফার্মগেট পর্যন্ত আসতেই প্রায় চল্লিশ মিনিট লেগে যায় ফারজানার। তেজগাঁওয়ে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করেন তিনি। ধানমন্ডির বাসিন্দা ফারজানা বলেন, সকাল ৯টার অফিস ধরতে গেলে হালকা যানজট নিয়মিত থাকলেও আজ ছিল তীব্র।
মহাখালীর বাসিন্দা নুর মোহাম্মদ। সকাল ৭টায় অফিস ধরতে বাসা থেকে সাড়ে ৬টায় বের হয়েও কাওরান বাজারের দীর্ঘ যানজটে আটকে যান। তিনি বলেন, `অন্য দিন এত সকালে এমন যানজট কখনই দেখিনি। আজ এত সকাল থেকে রাস্তায় অনেক যানবাহন দেখলাম।`
রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ইসমাইল হোসেন মোটরসাইকেলে করে তার বাসা থেকে শাহবাগ এসেছেন। বিজয় সরণি পর্যন্ত নির্বিঘ্নে আসতে পারলেও এরপর থেকে তীব্র যানজটের মুখে পড়েন। তিনি বলেন, `বিজয় সরণি থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত এলাকা নিশ্চল হয়ে পড়েছিল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়ও দেখা দিয়েছে প্রচণ্ড যানজট। ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায় সকাল থেকে আশপাশের রাস্তায় প্রচণ্ড যানজট। রাজু ভাস্কর্যসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় সমাবেশে আসা লোকদের ভিড়। সকাল থেকে যেসব শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ক্লাসের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন, তারাও দীর্ঘক্ষণ যানজটে আটকে ছিলেন। যানজটের কারণে কিছু কিছু বিভাগে ক্লাস বাতিল করা হয়।
এদিকে শাহবাগ, নীলক্ষেত, ঢাকা মেডিকেল, সচিবালয় ও হাইকোর্টের সামনের দিক দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সোহরাওয়ার্দীর সামনে দিয়ে যেতে চাওয়া গাড়িগুলোকে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করছে। ওই রাস্তা দিয়ে যেতে চাওয়া গাড়িগুলোকে বিকল্প পথে গন্তব্যস্থলে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :