দেশে নতুন আরো একটি রাজনৈতিক দল `বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টির` ( বিআরপি) আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। আজ দলটির নবগঠিত কমিটি ঘোষণা করা হয়।শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে দলটির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট নবগঠিত কমিটি ঘোষণা করা হয়। দলটির প্রতিষ্ঠাতা ও আহ্বায়ক হয়েছেন লন্ডন প্রবাসী মোঃ সোহেল রানা।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক ও প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবঃ) ডঃ নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ। তিনি এই দলটির জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন। এই দলের সকলে, দেশের সকল উন্নয়ন থেকে শুরু করে, যে কোন দুর্যোগে পাশে থাকার আহবান করেন তিনি।
এ সময় আলোচনায় অংশ নেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক অধ্যাপক মনজুরুল আলম, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ডাঃ এটিএম কামরুল ইসলাম, সোমালিয়ার মেগাদিসুতে অবস্থিত দারুস সালাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডঃ আসিফ এস মিজান, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের পরিচালক তানভীর আবির সহ অনেকেই।
আমন্ত্রিত অতিথিরা দলটির চিন্তাধারাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, সংবিধানে ন্যায় বিচার ও সমতা প্রতিষ্ঠা করতে হলে সংস্কারবাদী দলের প্রস্তাবনা গুলো বিবেচনায় আনতে হবে। জনগণের কল্যাণে সাংবিধানিক সংস্কার অতীব জরুরী বলে জানান তারা।
অনুষ্ঠানটিতে অন লাইনে যুক্ত হয়ে প্রতিষ্ঠাতা ও আহবায়ক সোহেল রানা দলটির পক্ষ থেকে ২৭ দফা ঘোষণা করে বলেন, তার দল ক্ষমতায় গেলে শিক্ষার্থীদেরকে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ঋণ সহায়তা ও কর্মকালীন সময়ে প্রণোদনা দেয়া হবে। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদেরকে কম্পিউটার ইন্টারনেটসহ আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করা হবে। যেন তারা একটি ভালো চাকরি করতে পারেন। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক থাকতে হবে। আমলাদের লুটপাট বন্ধ করতে হবে। তাছাড়া উন্নত স্বাস্থ্য সেবা, ওষুধ প্রদান ও নগরীগুলোতে সুপেয় পানির অধিকারসহ জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতকরণ এবং রাষ্ট্র ও রাজনীতির সংস্কার করা হবে।
দলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হল বাংলাদেশ একটি সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করে দুর্নীতি নির্মূল করা এবং প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করে দেশের সার্বিক উন্নয়ন সাধন। সংস্কারেই পরিবর্তন -পরিবর্তনের বাংলাদেশ, এই স্লোগানকে ধারণ করে বাংলাদেশ সংস্কার পার্টি তার মূলনীতি ও মূল্যবোধ হিসেবে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল নাগরিকের সমান অধিকার নিশ্চিত করা, দলীয় ও সরকারি কার্যক্রমের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বজায় রাখা, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের মাধ্যমে প্রতিটি স্তরে উন্নয়ন নিশ্চিত করা, সমাজের প্রতিটি স্তরে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা এবং বিচার ব্যবস্থাকে স্বাধীন রাখা, দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ এবং পরিবেশ রক্ষায় কঠোর নীতি গ্রহণ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন তিনি।
নতুন কমিটির প্রতিটি সদস্য তাদের দক্ষতা, সততা এবং দেশের প্রতি নিবেদিত প্রাণ তার জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। তারা দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণের লক্ষ্যে কাজ করবেন।
নতুন কমিটিতে বিআরপি-এর প্রতিষ্ঠাতা ও আহ্বায়ক মোঃ সোহেল রানা, যুগ্ম-আহ্বায়ক: এস. এম. আলতাফ হোসাইন, যুগ্ম-আহ্বায়ক: মেহেদী হাসান, যুগ্ম-আহ্বায়ক: আব্দুস সালাম শিকদার, যুগ্ম-আহ্বায়ক: অধ্যাপক সজল চন্দ্র দাস, যুগ্ম-আহ্বায়ক: মোঃ নাজমুল আলম, যুগ্ম-আহ্বায়ক: এডভোকেট আবুল হায়াত আফছার, যুগ্ম-আহ্বায়ক: সৈয়দ মোঃ মাসুদ রানা, যুগ্ম-আহ্বায়ক: এ. কে. এম. শফিকুল আলম সেলিম, যুগ্ম-আহ্বায়ক: ডাঃ এ কে এম কামরুল ইসলাম, যুগ্ম-আহ্বায়ক: লায়ন মো. জাহিদ হোসেন পলাশ, যুগ্ম-আহ্বায়ক: মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, যুগ্ম-আহ্বায়ক: ড. এহসান ইউসুফ, যুগ্ম- আহ্বায়ক: অজয় কুমার নন্দী (মদন)।
এছাড়াও সদস্যসচিব: মোঃ তৌহিদুল ইসলাম, যুগ্ম-সদস্যসচিব: ড. নাজমুল করিম, যুগ্ম-সদস্যসচিব: মোঃ মোবারক হোসাইন, যুগ্ম-সদস্যসচিব: কৃষিবিদ মোঃ আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম-সদস্যসচিব: মোঃ নজরুল ইসলাম বিশ্বাস, যুগ্ম-সদস্যসচিব: মোঃ সাইদুজ্জামান, যুগ্ম-সদস্যসচিব: মো. শফিকুল ইসলাম, যুগ্ম- সদস্যসচিব: আলমগীর ইসলাম, যুগ্ম-সদস্যসচিব: মোঃ হারুনুর রশিদ, যুগ্ম-সদস্যসচিব: মোঃ মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম-সদস্যসচিব: শেখ আব্দুল কাদির (কাজল), যুগ্ম-সদস্যসচিব: মুস্তাফিজুর রহমান শাহিন এবং অন্নান্য সদস্যদের নেতৃত্বে দলটি পরিচালিত হবে। এ সময় দলটির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
একুশে সংবাদ/বাবু/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :