নিরাপত্তা নিশ্চিতে মহড়া অনুষ্ঠিত হলো হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। যেখানে কক্সবাজার থেকে ঢাকায় আসা একটি বিমানে বোমা পাওয়া গেছে- এমন দৃশ্যপট তৈরি করা হয়। ৫০ মিনিটের মহড়ায় সফলভাবে বোমা নিষ্ক্রিয় করে নিরাপদে উদ্ধার করা হয় যাত্রীদের।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কন্ট্রোল টাওয়ারে হঠাৎ ভেসে এলো অচেনা কণ্ঠ। খবর এলো কক্সবাজার থেকে ঢাকায় ফেরা একটি যাত্রীবাহী বিমানে বোমা আছে। মুহূর্তেই সেই খবর জানানো হলো বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালককে। শুরু হলো যাত্রীদের উদ্ধারে তৎপরতা।
ফ্লাইটটি ঢাকায় অবতরণের আগেই রানওয়েতে অবস্থান নিতে শুরু করে অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি, বিমান বাহিনী, এপিবিএন, ফায়ার সার্ভিস, মেডিকেল টিমসহ ১৫টি সংস্থার চার শতাধিক সদস্য। অবতরণের সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের নিরাপদে বের করে আনা হয়। আর বোম্ব ডিসপোজাল টিম নিষ্ক্রিয় করে দেয় বোমাটি। পরে গুরুতর আহত এক যাত্রীকে হেলিকপ্টারে নিয়ে যাওয়া হয় কুর্মিটোলা হাসপাতালে।
দৃশ্যপট তৈরি করে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হয়ে গেলো নিরাপত্তা মহড়া। বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালকের নেতৃত্বে ৫০ মিনিটেই পুরো প্রক্রিয়াটি শেষ হয়। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম জানান, এই মহড়া দেশের প্রধান বিমানবন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির অংশ।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলেন, এই মহড়া সিভিল অ্যাভিয়েশনের সীমাবদ্ধতা খুঁজে বের করবে। সমন্বয় বাড়াবে দায়িত্ব পালন করা নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর মধ্যে। এতে নিশ্চিত হবে আন্তর্জাতিক মানের নিরাপত্তা।
আগামীতে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যাপক উন্নত করতে আন্তঃসংস্থাগুলোর সমন্বয় ও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের আহ্বানও জানিয়েছেন সিভিল এভিয়েশন চেয়ারম্যান।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :