কারওয়ান বাজার মোড় থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর বিদেশগামী কর্মীরা প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দিকে মিছিল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। তাদের সঙ্গে পেছন থেকে পুলিশ সদস্যরাও অবস্থান করছেন।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে কর্মীদের মিছিলটি কারওয়ান বাজার থেকে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে।
মিছিলের কারণে কারওয়ান বাজার থেকে শাহবাগগামী সড়কে যান চলাচল বিঘ্নিত হয়। আন্দোলনকারীরা সড়কের সামনের অংশ দখল করে এগিয়ে যান, আর তাদের পেছনে ছিল পুলিশের উপস্থিতি। এ সময় যানবাহনগুলো ধীরগতিতে চলতে বাধ্য হয়।
মিছিল থেকে আন্দোলনকারীরা স্লোগান দেন, "এক দফা এক দাবি, মালয়েশিয়া যেতে চাই," এবং "সিন্ডিকেটের কালো হাত ভেঙে দাও।"
মালয়েশিয়াগামী শ্রমিকদের অভিযোগ, নির্ধারিত সময়ে টাকা পরিশোধ করলেও তারা মালয়েশিয়া যেতে পারেননি। পাশাপাশি, রিক্রুটিং এজেন্টদের কাছ থেকে এখনো তাদের অর্থ ফেরত পাননি। তাই তাদের একমাত্র দাবি, যদি মালয়েশিয়া যেতে না পারেন, তবে অন্তত তাদের জমা দেওয়া অর্থ ফেরত দিতে হবে।
এর আগে সকাল সকাল ৯টা থেকে তারা কারওয়ান বাজার মোড়ে অবস্থান নেন তারা। এসময় তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন কাফনের কাপড় পরে সড়কে শুয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে বিভিন্ন দিক থেকে আসা যানবাহন কারওয়ান বাজার মোড়ে আটকা পড়ে। এভাবে দীর্ঘ দুই ঘণ্টা যাবৎ তারা কারওয়ান বাজার মোড় অবরোধ করে রাখেন তারা। এক পর্যায়ে পুলিশ তাদের অনেকটা জোরপূর্বক সরিয়ে দেয়।
এ সময় আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া মাঈন উদ্দীন বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিলাম। আমরা চেয়েছিলাম উপদেষ্টারা এসে আমাদের দাবি শুনুক, আমাদের যাওয়ার ব্যবস্থা করুক। কিন্তু পুলিশকে বার বার বোঝানোর পরেও তারা আমাদেরকে ধাক্কা দিয়ে এক পাশে সরিয়ে দেয়।
তিনি বলেন, আমাদেরকে বেশ কয়েকবার ধস্তাধস্তি করে ফুটপাথের দিকে সরিয়ে দেয়। আমরা অনেক চেষ্টা করেও মোড়ে দাঁড়াতে পারিনি। আমরা আমাদের ন্যায্য দাবি নিয়ে আসছি। আমরা এখন মিছিল নিয়ে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ঘেরাও করবো।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে পুলিশের তেজগাঁও জোনের ডিসি মোহাম্মদ ইবনে মিজান বলেন, উনারা সকাল নয়টা থেকে এখানে অবস্থান নিয়েছিল। আমরা আধা ঘণ্টা আগে তাদেরকে অনুরোধ করেছিলাম, তারা যেন রাস্তাটি ছেড়ে দেয়। এখানে অনেক হাসপাতাল, ক্লিনিক আছে, অনেক রোগীর যাতায়াত করে৷ তাদের যাতায়াতে অসুবিধা তৈরি হচ্ছিল। ওনারা আমাদেরকে বলেছিল, আলোচনা করে আমাদেরকে জানাবে৷ কিন্তু যেহেতু ওনারা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি, তখন আমরা তাদেরকে অবুরোধ করে রাস্তার ধারে সরিয়ে দিয়েছি।
একুশে সংবাদ/ঢ.প/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :