দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট থেকে কলসিভর্তি সোনাদানা ও গুপ্তধন পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া জিনের বাদশা ইমরান হোসেন কবিরাজকে আটক করেছে র্যাব-৫, জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা।
রোববার (১২ মার্চ) দুপুরে জয়পুরহাট র্যাব-৫ ক্যাম্পের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। শনিবার সন্ধ্যায় ঘোড়াঘাট উপজেলার হাটপাড়া এলাকায় জয়পুরহাট র্যাব-৫ ক্যাম্পের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।
আটককৃত জিনের বাদশা ইমরান হোসেন ওই এলাকার মৃত আক্তার নবাব খানের ছেলে।
জয়পুরহাট র্যাব-৫ ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর মোস্তফা জামান জানান, একমাস আগে জয়পুরহাট জেলা সদরের সাজ্জাদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি কথিত জিনের বাদশা ইমরান কবিরাজের কাছে চিকিৎসা নিতে যায়। একপর্যায়ে ইমরান জিনের মাধ্যমে তার চিকিৎসা দিয়ে রোগ নিরাময় ও অনেক ধনসম্পদ, গুপ্তধন পাইয়ে দেবে বলে আশ্বাস দেয়। শর্ত হিসেবে তাকে ৫ লাখ টাকা অগ্রিম দিতে হবে বলে জানায়।
তিনি আরও জানান, ভুক্তভোগী কবিরাজকে ৩ লাখ টাকা দিয়ে গুপ্তধন পাওয়ার পর ২ লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। টাকা নেওয়ার পর কবিরাজ তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়ে ফোন বন্ধ করে রাখে। পরে ভুক্তভোগী জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পে অভিযোগ করলে তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে কবিরাজের অবস্থান শনাক্ত করে শনিবার সন্ধায় র্যাব-৫,এর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে তাকে প্রতারণার বিভিন্ন উপকরণসহ আটক করা হয়।
মেজর মোস্তফা জামান আরও জানান, ইমরান হোসেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের কাছ থেকে বিকাশ, নগদ ও অন্যান্য মাধ্যমে জিনের কলসি ভর্তি সোনাদানা দেওয়ার নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় বলে স্বীকার করে। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের করে ঘোড়াঘাট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
একুশে সংবাদ.কম/নি.দ.প্র/জাহাঙ্গীর
আপনার মতামত লিখুন :