ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে এবছর ১৮,০৪০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। সঠিক পরিচর্যা পেলে এই মৌসুমের ধান উৎপাদনের মাধ্যমে কৃষকের ৬০ ভাগ দানাদার খাদ্যের যোগান নিশ্চিত হয়। বোরো মৌসুমে ধানের ক্ষতিকারক প্রধান দুইটি বালাই হলো মাজরা এবং ছত্রাকজনিত ব্লাষ্ট রোগ। এই দুটি বালাই সঠিক সময়ে দমন করা না হলে গড় ফলন ২০ থেকে ৩০ ভাগ পর্যন্ত কমে যেতে পারে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, নবীনগর উপজেলায় ধানের উৎপাদন নিশ্চিত করতে মাজরা এবং ব্লাষ্ট সচেতনতা তৈরি করতে গঠন করেছে ভ্রাম্যমাণ স্কোয়াড। কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ মোঃ রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে কাজ করছে ৩৪ জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা।
সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রেসক্রিপশন, রোগ এবং পোকার ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করে কৃষকদের দমন কৌশল নিয়ে কাজ করছে ভ্রাম্যমাণ স্কোয়াড। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম লিটন সামগ্রিক কার্যক্রম মনিটরিং করছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম লিটন জানান, ব্লাষ্ট এবং মাজরা আক্রমণ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় যখন ধানের শীষ চিটা হয়ে যায়, ঐ অবস্থায় কোন কিছুই করার থাকে না। এই দুটি বালাই দমন করতে কৃষকদের প্রতিষেধক ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করাতে আমরা কাজ করছি। কৃষকদের মাঝে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। এই ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
একুশে সংবাদ/আ.হো.প্রতি/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :