গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মানিকদাহ আশ্রয়ন প্রকল্পে আশ্রয় পাওয়া অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের ঘর পাওয়া লাভলী বেগমের মতো আরো অনেকেই এখন নিজেদের ঠিকানা খুঁজে পেয়েছেন। আগে এখানে সেখানে খুপড়ি ঘর ভাড়া নিয়ে সেখানে যাযাবরের মতো জীবনকে কোনমতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘর পেয়ে এখন তাঁর সহ তার মেয়ের জীবনের একটা স্থায়ী ঠিকানা হয়েছে।
লাভলী বেগম বার বার তার জীবনের ঘাত-প্রতিঘাতের কথা বলছিলেন আর শাড়ির আঁচলে চোখের পানি মুছছিলেন। একমাত্র মেয়েকে নিয়ে তার যতো স্বপ্ন। মেয়েটি বড় হয়েছে। মানিকদাহ এন হক কলেজে লেখা-পড়া করে।বিজনেস এন্ড টেকনোলজি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। সেখান থেকে মেয়ে প্রকৌশলী হয়ে বের হবে। তার স্বপ্ন পুরন করবে মেয়ে। স্বামী থাকতে ও নেই। দীর্ঘ বছর আগে অপ্রকৃতিস্থ হয়ে ঘর ছাড়া হয়েছেন। কোথায় কেমন আছে লাভলী বেগম তাও জানেন না। এখন তার কাছে ওই মেয়েটিই তার ধ্যান-জ্ঞান।একদিন মেয়ে ইঞ্জিনিয়ার হয়ে তার দুঃখ ঘোচাবে এই আশা নিয়ে দিন গুনছেন তিনি।
নিজে সারাদিন আশ্রয়ন প্রকল্পের মানুষের এবং বাইরের মানুষের কাছ থেকে অর্ডার নিয়ে সেলাই মেসিনে কাজ করে যা পান, তাই দিয়ে সংসারটা চালিয়ে নিচ্ছেন। তার স্বামী যখন বাড়ি ছেড়ে, মেয়েকে ছেড়ে নিরুদ্দেশ হন, তিনি কি করবেন বুঝতে পারেননি।দিশেহারা হয়ে শেষ পযন্ত সেলাই মেসিনের কাজ শেখেন। এখন এটিই তার রুটি রুজি আর সম্মান বাঁচানোর কাজে পরিনত হয়েছে।
লাভলী বেগম জানান, তাঁকে প্রধানমন্ত্রী যে উপহারের ঘর দিয়েছেন সেই ঘরেই তিনি এখন বসবাস করছেন। প্রধানমন্ত্রীকে শুধু ধন্যবাদ নয়, তিনি যেন সুস্থ সবল দেহে আগামীতেও ক্ষমতায় থেকে তার মতো গরীব দুঃখিদের জন্য কাজ করে যেতে পারেন তার জন্য তিনি দোয়া করেন।
একুশে সংবাদ.কম/ম.ম.প্র/জাহাঙ্গীর
আপনার মতামত লিখুন :