বেশ কয়েক বছর ধরে বেহাল দশা দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার পাকেরহাট থেকে দুহশুহ হয়ে চেহেলগাজী বাজার সড়কটির।রাস্তায় চলাচলের জন্য ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত আর খানাখন্দে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। যাত্রী ও গাড়িচালকদের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
সরেজমিনে দেখা যায়, খানসামা উপজেলার প্রধান কয়েকটি সড়কের মধ্যে খানসামা উপজেলার পাকেরহাট ও বীরগঞ্জ উপজেলার একটি অন্যতম সংযোগ সড়ক। সড়কের প্রায় সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার অংশের অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয় হওয়া সত্ত্বেও প্রতিনিয়ত খামারপাড়া ইউনিয়নের বালাপাড়া, দুহশুহ, কায়েমপুর, খামারপাড়া, নেউলা এবং পাকেরহাট থেকে জয়ন্তিয়া ঘাট হয়ে বীরগঞ্জ উপজেলায় ভ্যান, অটোরিকশা, মাইক্রোতে হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। এরই মধ্যে কয়েক দিনের বৃষ্টিতে বিভিন্ন অংশে পানি জমে গেছে। পানির নিচের খানাখন্দ দেখতে না পাওয়ায় গাড়ি চলাচলে ঘটছে দুর্ঘটনা। বাড়ছে যানবাহনের ক্ষতি। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় সড়ক জুড়ে বড় বড় গর্ত আর খানাখন্দ বেড়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগীরা জানান, এ সড়কটি নির্মাণে নিম্নমানের কাজ করা হয়েছিল। এছাড়াও গত কয়েক বছরে পানি মিশ্রিত বালু ১০ চাকার ড্রাম ট্রাক ও ট্রাক্টরে করে বহন করায় সড়কের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে তৈরি হয়েছে অসংখ্য গর্ত। রাস্তাটি প্রশস্ত করে সংস্কার না করলে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাধীন জয়ন্তিয়া ব্রিজ কাজে আসবে না। দুহশুহ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও দুহশুহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থী এ ভাঙা রাস্তা দিয়ে চলাচল করে।
এছাড়াও আলহাজ্ব দলিল উদ্দীন চৌধুরী বৃদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও খানাখন্দে ভরপুর এই রাস্তায় ঝুঁকি নিয়ে ভ্যানে কিংবা হুইলচেয়ারে করে স্কুলে যাতায়াত করে থাকেন। হাসপাতালেও রোগীদের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াতে করতে হয়। ফলে ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে যেয়ে প্রায়ই দুঘর্টনার শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী শাহ্ মোঃ ওবাইদুর রহমান বলেন, এই সড়কটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুত এ সড়কটি প্রশস্ত ও সংস্কার করা যাবে।
একুশে সংবাদ/নু.আ.প্রতি/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :