শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে আদিবাসী নারীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার খাঁন শাওনকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় তাকে বহিস্কারসহ উপজেলা কমিটিকে বিলুপ্ত ঘোষনা করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্র লীগ।
উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের বড় গজনী গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। ওই ছাত্রী শেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী ও বড় গজনী গ্রামের বাসিন্দা।
ওই কলেজ ছাত্রী ও তার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ঈদুল ফিতরের দিন শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক শাহরিয়ার খাঁন শাওন তাদের বাড়িতে গিয়ে ওই মেয়ের বাবা মায়ের সাথে কিছু সময় গল্প করে। এসময় ওই কলেজ ছাত্রী বাড়ির উঠানে ফেসবুক দেখছিল। পরে শাওন ঘর থেকে বের হয়ে উঠানে কলেজ ছাত্রীকে জরিয়ে ধরে ধ্বস্তাধস্তি শুরু করে। এক পর্যায়ে কলেজ ছাত্রীর ডাকচিৎকারে তার বাবা -মা ঘর থেকে বের হয়ে উঠানে আসলে শাওনের হাত থেকে রক্ষা পায় কলেজ ছাত্রী।
পরে ওই কলেজ ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে উপজেলা ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ করে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলা ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মি. নবেশ খকসীর বাড়ীতে আপোষ মিমাংসার জন্যে বসে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ শাওনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ বিভিন্ন মিডিয়াতে অল্প সময়ের মধ্যে ভাইরাল হয়ে পড়ে। পরে উপজেলা ও জেলা ছাত্রলীগের কমিটির সুপারিশে আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় কমিটি সাধারন সম্পাদক পদ থেকে শাহরিয়ার খাঁন শাওনকে বহিস্কারসহ পুরো কমিটিকে বিলুপ্ত ঘোষনা করে প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা শাহরিয়ার খাঁন শাওন বলেন, ঘটনাটি সত্য নয়। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।
উপজেলা ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মি. নবেস খকসী বলেন, ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে ঝিনাইগাতী থানায় অভিযোগ করেছেন।
এ বিষয়টি ঝিনাইগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনিরুল আলম ভূইয়া সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গ্রেপ্তারকৃত ছাত্রলীগ নেতা শাহরিয়ার খাঁন শাওনকে মঙ্গলবার দুপুরে শেরপুর কোর্টে সোর্পদ করা হয়েছে।
একুশে সংবাদ.কম/ম.হ.প্র/জাহাঙ্গীর
আপনার মতামত লিখুন :