চুয়াডাঙ্গায় নাশকতার মামলায় বিএনপি যুবদলের ২১ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার

চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি ও যুবদলের ২১ নেতা-কর্মীকে নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাত থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত আলমডাঙ্গা ও সদর উপজেলার পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা করা হলে বিচারক তাদের জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।

চুয়াডাঙ্গায় গ্রেপ্তারকৃত হলেন- জেলা যুবদলের সহ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম (৩০), সদস্য আব্দুর রশিদ (৩৭), মাখালডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান লিটন (৪১), কোষাধক্ষ্য হাজি লাল্টু (৪৭)। আলমডাঙ্গায় গ্রেপ্তারকৃত হলেন- জেলা বিএনপির সদস্য ও আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাধারণ জিল্লুর রহমান ওল্টু (৫৬), গাংনি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হক (৫৭), রফিকুল ইসলাম (৪২), উজ্জল হোসেন (৩৫), আব্দুল আলিম (৩৬), হাবিবুর রহমান রাজু (৩০), মকলেছ রহমান মিলান (৪৫), সাফায়েত হোসেন (৩৭), এফতেখারুল ইসলাম রাশেদ (২৯) শফিকুল আজম ডালিম (৩৭) জহুরুল ইসলাম (৩৬), বেনজির আহমেদ স্বাপন (৪৫), নাসির উদ্দিন (৪৫), ওবাইদুর রহমান বেল্টু (৩৩), সাইফুর রহমান (৪৪), মো. ইকতা (৪৫), দেলোয়ার হোসেন ঝন্টু (৪৩)।

গ্রেপ্তারকৃতদের শনিবার দুপুরে পুলিশ প্রহরায় প্রিজন ভ্যানে আদালত চত্বরে আনা হয়। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মী ও গ্রেপ্তারকৃতের স্বাজনরা তাদের মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন দিতে থাকেন। তারা বলেন মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দ্রুত তাদের মুক্তি দেওয়া হোক।

আলমডাঙ্গা ও সদর থানার অফিসার ইনচার্জরা জানান, ২০২২ সালের ১৪ ডিসেম্বর ভোরে আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার আসাননগর মাঠে বিএনপি- জামায়াতের নেতা-কর্মীরা নাশকতা মূলক কর্মকান্ড সংগঠিত করার জন্য সংগঠিত হয়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আলমডাঙ্গা থানায় একটি মামলা হয়।  বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় নাশকার প্রস্ততির সময় উপস্থিত থাকায় আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ শুক্রবার রাত থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত আলমডাঙ্গার বেশ কয়েকটি স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৭ জন বিএনপির নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে। ১৭ বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের পর শনিবার দুপুরে আলমডাঙ্গা আমলী আদালতে সোপর্দ করা হলে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রিপন হোসেন জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।

এরমধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় ২০২৩ সালের বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেলা যুবদলের সহ সম্পাদকসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার চার জনকে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাদের জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।

জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব বলেন, ২৬ মে চুয়াডাঙ্গায় কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচি ১০ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি রয়েছে। সরকার পদত্যাগের ১০ দফা দাবি নিয়ে এ কর্মসূচি পালন করার কথা রয়েছে। তার আগেই আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে মিথ্যা মামলায়। বিক্ষোভ সমাবেশ সফল করা হবে।

পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন বলেন, চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গা থানার পৃথক মামলায়  বিএনপির ২১ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালত গ্রেপ্তারকৃতদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।

একুশে সংবাদ/এসএপি