ঠাকুরগাঁওয়ে পীরগঞ্জে আশরাফুন আক্তার আঁখি নামে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। প্রেমিক বিয়ে করতে না চাওয়ায় শনিবার সন্ধ্যায় পৌর শহরের মিত্রবাটী এলাকায় নিজ বাড়িতে আত্মহত্যা করে ওই শিক্ষার্থী। এদিকে প্রেমিকার মৃত্যুর খবর শুনে প্রেমিক আত্মহত্যার নাটক করে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এলাকাবাসি জানান, পৌর শহরের মিত্রবাটি গ্রামের আশরাফুলের মেয়ে আঁখি আকতার পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী। আঁখি’র সাথে একই এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে আবিরের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরই মধ্যে আঁখিকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে আবির তার সাথে শারিরীক সম্পর্কে জড়ায়। বিষয়টি উভয় পরিবারের মাঝে জানাজানিও হয়। এক পর্যায়ে তাকে বিয়ে করতে প্রেমিক আবিরকে চাপ দেয় আাঁখি কিন্তু প্রেমিক আবির তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়।
এতে শনিবার সন্ধ্যায় নিজের শয়ন ঘরের বাঁশের সরের সাথে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে আঁখি। ওই শিক্ষার্থীর মা হাসিনা বানুর দাবী আবির তার মেয়েকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে।
এদিকে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে মানষিক সমস্যার কারণে আঁখি আত্মহত্যা করেছে উল্লেখ্য করে থানায় লিখিত আবেদন করেছেন আঁখির চাচা মোতালেব। অপর দিকে আঁখির আত্মহত্যার বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে প্রেমিক আবির শনিবার রাতে নিজেও আত্মহত্যার নাটক করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়।
পীরগঞ্জ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আব্দুর রহমান সোহান জানান, আবির নামে এক যুবক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। রবিবার সকালে তিনি বাড়ি চলে গেছেন। তবে তার গলায় আত্মহত্যার চেষ্টার কোন আলামত পাওয়া যায়নি।
পীরগঞ্জ থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম জানান, এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। তবে আবির নামে কেউ আত্মহত্যার নাটক করেছে-এমন খবর পাইনি।
একুশে সংবাদ/ল.ল.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :