পদ্মা সেতুর সুফল পাচ্ছেন দেশের গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা। গেল বছরের ২৫ জুন সেতু উদ্বোধনের পরে বিপুল পরিমান রেডিমেইড গার্মেন্টস পণ্য মোংলা বন্দর দিয়ে রপ্তানি হয়েছে। ঢাকা থেকে মোংলা বন্দরের খরচ কম হওয়ায় গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা এই বন্দরকে বেছে নিয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ জুন) দুপুরে ঢাকার ১০টি গার্মেন্টস‘র বিপুল পরিমান পন্য নিয়ে সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি মার্কস কিনজহো (M.V. Maersk Qinzho) পোল্যান্ডের উদ্দেশ্যে মোংলা বন্দর ছেড়েছে।
এই নিয়ে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পরে ৫ম বারের মত গার্মেন্টস পন্য রপ্তানি হলো মোংলা বন্দর দিয়ে। সেতু চলার পরে প্রথম চালান গিয়েছিল ২৭ জুলাই। তবে এই সময়ে কি পরিমান গার্মেন্টস পন্য মোংলা বন্দর দিয়ে রপ্তানি হয়েছে তা জানাতে পারেনি বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া এমভি মায়েরস্ক (M.V. Maersk) নামক আরও একটি জাহাজে করে একই ধরনের রেডিমেইড গার্মেন্টস পন্য রপ্তানির জন্য প্রক্রিয়াধীন আছে। সকল প্রক্রিয়া শেষে এই জাহাজটি আগামী ২২ জুন মোংলা বন্দর ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।
পোল্যান্ডের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া জাহাজে থাকা গার্মেন্টস পন্যের মধ্যে বাচ্চাদের পোশাক, হেয়ার ব্যন্ড, লেগিংস , ট্রাওজার, সহ বিভিন্ন গার্মেন্টস পন্য রয়েছে। রপ্তানিকারক কোম্পানিগুলো হচ্ছে, ঢাকার ফকির নিটওয়ার লিঃ, এপেক্স লিংগারি লিঃ, এপেক্স স্পিনিং লিঃ, নিট কনসার্ন লিঃ, ফ্লামিংগো ফ্যাশান লিঃ, অনন্ত গার্মেন্টস লিঃ, লিবার্র্টি নিটওয়ার লিঃ, এ কে এম নিটওয়ার লিঃ, স্টালিং ডেনিমস লিঃ, স্টালিং স্টাইলস লিঃ।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপসচিব মোঃ মাকরুজ্জামন বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পরে মোংলা বন্দরের ব্যস্ততা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া মোংলা বন্দরের সক্ষমতাও বেড়েছে কয়েকগুন। এই কারণে ব্যবসায়ীরা পন্য রপ্তানির ক্ষেত্রে মোংলা বন্দরকে বেছে নিচ্ছেন। সেতু চালু হওয়ার পরে ৫ বার আমাদের বন্দর দিয়ে গার্মেন্টস পন্য রপ্তানি হয়েছে। ২২ জুন আরও একটি জাহাজে করে গার্মেন্টস পন্য যাওয়ার কথা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা থেকে মোংলা বন্দরের দূরত্ব ১৭০কি.মি. সেখানে ঢাকা থেকে চট্রগ্রাম বন্দরের দূরত্ব ২৬০ কি. মি.। আগে ফেরি থাকার কারণে ব্যবসায়ীরা ভোগান্তির জন্য মোংলা বন্দর ব্যবহার করতে চাইতেন না। এখন যেহেতু ঢাকা ও মোংলার মধ্যে কোন ফেরি নাই, তাই পদ্মা সেতু হয়ে সরাসরি মোংলা বন্দর দিয়ে পন্য রপ্তানি করতে ব্যবসায়ীদের আগ্রহ রয়েছে।
এছাড়া মোংলা বন্দরে জাহাজ হ্যান্ডলিং দ্রুত ও নিরাপদে হয়। জেটি অভ্যন্তরে কন্টেইনার স্টাফিং সুবিধা, পর্যাপ্ত ইকুইপমেন্ট সুবিধা ও নিরাপদ বন্দর হওয়ায় ব্যবসায়ীদের আগ্রহের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হচ্ছে মোংলা বন্দর।
একুশে সংবাদ/শ.স.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :