কুড়িগ্রামের রাজীবপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেওয়ার কথা বলে ১০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন। দেড় বছরও ঘর না দেওয়ায় ঘুষের টাকা ফেরত চাওয়ায় মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য ফরিজল হকসহ তাঁর স্ত্রী-সন্তানের বিরুদ্ধে।
এ নিয়ে গত সোমবার (২৯ মে) উপজেলা নির্বাহী= কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আহাদ আলী নামের এক ভুক্তভোগি।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের বালিয়ামারী আদর্শ গ্রামের এ ঘটনাটি ঘটে।
ফরিজল হক রাজীবপুর সদর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ও ভুক্তভোগি আহাদ আলী একই ইউনিয়নের বালিয়ামারী আদর্শগ্রাম এলাকার আব্দুর রফিকের ছেলে।
মঙ্গলবার ভুক্তভোগি আহাদ আলী অভিযোগ করে বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেওয়ার কথা বলে ১০ হাজার টাকা ঘুষ নেন ইউপি সদস্য ফরিজল হক। কিন্তু দেড় বছরেও ঘর না দেওয়ায় ঘুষের টাকা ফেরত চান তিনি। এ নিয়ে গ্রাম্য সালিস বৈঠকও হয় একাধিকবার। সালিসে টাকা ফেরত দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন। পরে সেই টাকা ফেরত না দিয়ে বিভিন্ন টালবাহনা করেন ইউপি সদস্য।
রোববার (২৮ মে) সকালে ঘুষের টাকা ফেরত চাইতে গেলে মারধরের হুমকি দেওয়া হয় তাঁকে। ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তাঁর বাড়িতে গিয়ে স্ত্রীকে মারধর করেন ইউপি সদস্যের স্ত্রী-সন্তান। এর সঠিক বিচার চান তিনি।
স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কয়েক জনের উপস্থিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের জন্য টাকা দেওয়া হয়েছে ইউপি সদস্য ফরিজল হককে। এ টাকা ফেরত পেতে একাধিকবার বৈঠকও করা হয়। বৈঠকে টাকা ফেরত দিবেন বলে আশ্বাসও দিয়েছিলেন তিনি। এরপর টাকা কেনো ফেরত দিচ্ছেন না, তা বলতে পারেন না তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজীবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের ১নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ফরিজল হক বলেন, তাঁর কাছে টাকা পান এবং ফোন কলটি কেটে দেন তিনি।
রাজীবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিরন মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, তিনি অভিযোগের বিষয়টি জানেন। তবে খোঁজ খবর নিয়ে সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
রাজীবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) এবিএম সরোয়ার রাব্বী বলেন, অভিযোগপত্র হাতে পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একুশে সংবাদ/সা.স.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :