AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

নিয়োগে বাণিজ্য, অভিযোগ শিক্ষা দপ্তরে


নিয়োগে বাণিজ্য, অভিযোগ শিক্ষা দপ্তরে

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার শিবপুরহাট হাই স্কুলে ৪ জন কর্মচারি নিয়োগে বাণিজ্য ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

 

স্কুল সূত্রে জানা গেছে, গত (২০ মে) স্কুলের দপ্তর সহকারি আয়া, নৈশপ্রহরীসহ ৪টি পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে কৌশলে স্কুলের সভাপতি শফিকুল ইসলামের মেয়েকে আয়া পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

 

লিখিত অভিযোগকারী আলম হোসেন বলেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির যোগসাজসে ৪জন কর্মচারি নিয়োগ দেয়া হয়। আর তারা নিয়োগ বাণিজ্য করে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তিনি বলেন, নিয়োগের আশায় নুরজাহান নামের একজন নারী দীর্ঘ ২০ বছর স্কুলের আয়া পদে কাজ করেছেন। অথচ তাকে চাকুরি না দিয়ে রীতিমত ভুরিভোজ করে সভাপতির মেয়েকে আয়া পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আর এ ঘটনার এলাকার লোকজন চরম ক্ষিপ্ত হয়েছেন। যার কারণে গত ১ জুন উপজেলা শিক্ষা দপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

 

নাম প্রকাশ না করা শর্তে স্কুলের এক শিক্ষক বলেন, খাতা-কলমে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি নিয়োগ বোর্ড গঠন করেছে। আর প্রার্থী বাচাই ও নিয়োগের বিনিময় অর্থ নিয়েছেন একজন প্রভাবশালী ব্যাক্তি। তবে স্কুলে দীর্ঘদিন বিনা বেতনে একজন নারী কাজ করলেও শুধুমাত্র মোটা অংকের টাকা দিতে না পারায় তাকে নিয়োগ দেয়া হয়নি। আর এতে স্কুলের শিক্ষকদের পাশাপাশি স্থানীয় লোকজন চরম ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

 

বানেশ্বর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়াডের মেম্বার মো: আব্দুল মালেক বলেন, প্রভাব খাটিয়ে এলাকার একজন প্রভাবশালী আওয়ামী লীগের জনপ্রতিনিধি এখানে একজন জামায়াত শিবিরের পরিবারকে নিয়োগ দিয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে জামায়াতের পরিবারের মানুষ চাকরি পাচ্ছে। সেই চাকরি দিচ্ছে আওয়ামী লীগের জনপ্রতিনিধি এটা খুবই দুঃখজনক।

 

শিবপুরহাট হাই স্কুলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম অর্থের বিনিময় কর্মচারি নিয়োগ দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমার কাছে কেউ কোনো টাকা দেয়নি। নিজের মেয়েকে আয়া পদে নিয়োগ দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বোর্ড তাকে যোগ্য মনে করেছেন। তাই তাকে নিয়োগ দিয়েছেন।

 

তবে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা আরাবিয়া সুলতানা বলেন, নিয়োগে কোথায়ও কোনো অনিয়ম করা হয়নি। আর নিয়োগের পুরো প্রক্রিয়া করা হয়েছে বিধি মোতাবেক। আর দীর্ঘদিন বিনা বেতনে একজন নারী শ্রম দিয়েও কেনো সভাপতির মেয়েকে ওই পদে নিয়োগ দেয়া হলো, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।

 

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লায়লা আক্তার জাহান বলেন, বিধি মেনেই নিয়োগবোর্ড সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। এখানে কোনো অনিয়ম হয়নি। তবে লিখিত অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটি অভিযোগ আমরা পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

একুশে সংবাদ/সা.হ.প্র/জাহা

Link copied!