বরগুনার আমতলীতে ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে মসলা। নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে মসলার দাম। আমতলীসহ উপকূলের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঈদুল আযহা উপলক্ষে গরম মসলা বাজারের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে। স্বল্প ও নিম্ন আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে গেছে মসলার বাজার।
আমতলী পৌর শহরের খলিল মহাজন ও লাল মিয়ার মুদিমনোহরি দোকানে গিয়ে দেখা যায়। রসুন গত বছর ছিল ৫০টাকা এবছর দেশিটা ১৩০টাকা চায়না ১৬০ টাকা । গত বছর ঈদুল আযহার পূর্বে পেঁয়াজ ছিল ২৮টাকা এখন ৪৫ তেকে ৬৫টাকা, আদা ছিল ১৫০ টাকা এখন ৩২০ টাকা, জিরা ছিল ৫০০ টাকা এখন ৯০০ টাকা, গোলমরিচ ছিল ৩০০ টাকা বর্তমানে ১০০০ টাকা ও তবে এলাচ ২৫০০ থেকে ৪০০০ হাজার টাকা ্ধসঢ়; দারুচিনি ৪২০ টাকা কিসমিস ৫২০ টাকাসহ অন্যান্য মসলার দামওবেড়েছে।
রসুন, পেঁয়াজসহ আমদানি করা মসলার বেঁধে দেয়া সরকারি দর কেউ মানছে না। পাইকারী থেকে ছোট দোকানি পর্যন্ত একে অপরকে দোষারোপ করেই নিজের দায় এড়িয়ে যাচ্ছেন। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বাজারে এখন রসুন, পেঁয়াজ, জিরা, আদা, এলাচ প্রায় সবই বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। আমতলী পৌরশহরের মসলা ব্যবসায়ী মো. জাহিদ বলেন ঢালাওভাবে বলা হচ্ছে, বাজারে দোকানদারেরা সব মসলার দাম বাড়িয়েছেন- এটা ঠিক নয়।
আমতলী পৌরশহরে বাজার করতে আসা ক্রেতা শাহ মুহা; সুমন রশিদ বলেন, মসলার বাজারে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। বাজারে মসলা ক্রয় করতে আসা মো. সজিব ওমো. সাইদুল বলেন মসলার যে , দাম তা আমাগো মত সাধারন মানুষের সাধ্যের বাইরে। ব্যবসায়ীরা ইচ্ছা মাফিক দাম বাড়াচ্ছে। সাধারণ মানুষ তাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়বে।
এব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আশ্রাফুল আলম মুঠোফোনে জানান ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে ।
একুশে সংবাদ/সা.খ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :