বরিশালের উজিরপুরে অস্থায়ী পশুর হাটগুলোর প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। ইতোমধ্যে হাটে আসতে শুরু করেছে গরু-ছাগল। যদিও কেনাবেচা এখনও তেমনভাবে শুরু হয়নি। ভালো জায়গা পেতেই আগেভাগে চলে এসেছেন বেপারীরা।
রোববার (২৫ জুন) উপজেলার বিভিন্ন পশুর হাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সাধারণত ঈদের দু-একদিন আগে পুরোদমে কোরবানির পশু বিক্রি শুরু হয়। তবে এর আগেও কমবেশি বিক্রি হয়।
বিভিন্ন হাট ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রাকে ট্রাকে গরু আসছে। বেপারীরা ট্রাক থেকে নেমেই আগে জায়গা ঠিক করছেন। তারা হাটে কদিন থাকার প্রস্তুতি নিয়ে এসেছেন। সঙ্গে নিয়ে এসেছেন তাঁবু, বালিশ, কাঁথা, চট, চাদর, হাড়িপাতিল ও গোখাদ্য। একেকজন বেপারী ১০ থেকে শুরু করে ২০ টি গরু নিয়ে এসেছেন। হাটে আগত গরুর বেশির ভাগই দেশি।
হাট পুরোপুরি প্রস্তুত না হলেও এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিক্রির জন্য কোরবানির পশু নিয়ে এসেছেন ব্যবসায়ীরা। হাট পুরোদমে জমে না ওঠায় অনেকেই পর্যায়ক্রমে পশু আনার পরিকল্পনা করেছেন।
বেপারীরা বলছেন, সকাল থেকে ক্রেতারা আসছেন। কিন্তু দাম জিজ্ঞাসা করেই তারা চলে যাচ্ছেন। অনেকে শুধুই দেখতে আসেন। এ বছর গরুর দাম বেশি হওয়াতে অনেকেই বাজার যাচাই করে গরু কিনবেন।
বামরাইল ইউনিয়ন ঈদগা মার্কেট গরু হাট ঘুরে দেখা গেছে, হাটে উঠেছে গরু ও ছাগল। প্রথম দিনে অনেকেই গরু কিনতে হাটে এসেছেন। কিনছেনও অনেকে। তবে গরু কিনে বাড়ি ফেরার সময় দাম নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে মধুর সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ক্রেতাদের।
শিকারপুর হাটে দেখা গেছে, এখন চলছে হাট প্রস্তুতির মহাযজ্ঞ। প্রত্যেক বেপারী ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। গরু বাঁধা, খাবার দেওয়া, ত্রিপল দিয়ে ছাউনি বানানো, আগত সদস্যদের দুপুর ও রাতের খাবার তৈরিসহ নানা কাজ করতে হচ্ছে তাদের। এই হাটে গরুর গোসলে পানির ব্যবস্থা নাই। তাই বাধ্য হয়ে হাটের পূর্ব পাশে থাকা নদী থেকে পানি আনছেন কেউ কেউ। তার ফাঁকে অনেককে নদীতে গরু নিয়ে গিয়ে গোসল করাতেও দেখা গেল।
এদিকে ঈদুল আজহা উপলক্ষে সম্প্রতি সার্বিক আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত সভা শেষে উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো.কামরুল আহসান বলেন, উপজেলার সড়ক-মহাসড়কে হাট বসা নিষিদ্ধ থাকবে। পশুহাটে পশু চিকিৎসক থাকবেন। পশু কোনো নির্ধারিত হাটে নেওয়ার জন্য জোর করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হাসিলের পরিমাণ সাইন বোর্ডে লেখা থাকতে হবে। সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া কোরবানির পশুবাহী যানবাহন থামানো যাবে না। পশুর হাটে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প রাখা হবে। এ ছাড়া জাল নোট শনাক্ত করার মেশিন ও এটিএম বুথও থাকবে।
পশুর হাট সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। এ বছর উপজেলার কমবেশি ১০টি অস্থায়ী পশুর হাট বসবে বলে আমাদের কাছে খবর এসেছে।
একুশে সংবাদ/র.ই.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :