সুনামগঞ্জে দোয়ারাবাজারে স্ত্রীকে যৌতুকের জন্য হত্যার অভিযোগে স্বামী গৌছ আলীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার (৫ জুলাই) বিকেলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জাকির হোসেন এ রায় দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায় , সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার হাছন ফাতেমাপুর গ্রামের মোস্তফা মিয়ার মেয়েকে বিয়ে করেন আসামি দোয়ারাবাজার উপজেলার গৌছ আলী। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই আসামি তার স্ত্রী কলি বেগমের কাছে যৌতুক দাবি করতে শুরু করেন। কলি যৌতুকের বিষয়টি তার বাবাকে জানান । পরে তার মেয়ের অনুরোধে বিভিন্ন সময়ে আসামিকে প্রায় পাঁচ লাখেরও বেশি টাকা দেন। কিন্তু তারপরও আসামি তার স্ত্রীকে বিভিন্ন সময় যৌতুকের জন্য মারপিটসহ মানসিক যন্ত্রণা দিতে শুরু করেন। এরপর ২০০৫ সালের ৫ জুন দুপুরে গৌছ আলী তার স্ত্রী কলি বেগমকে টাকার জন্য মারপিট করলে কলি বেগম অজ্ঞান হয়ে পড়েন । এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
পরে হত্যার ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য তার স্ত্রীর মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে প্রচার করে যে ভিকটিম আত্মহত্যা করেছেন । খবর পেয়ে কলি বেগমের বাবা এসে মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় যেয়ে গৌছ আলীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার দীর্ঘ বিচারকার্য শেষে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় আসাামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যিনালের পিপি অ্যাডভোকেট নান্টু রায়।
একুশে সংবাদ/স/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :