AB Bank
  • ঢাকা
  • রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ভালবাসার টানে মালয়েশিয়ান তরুণী ভাঙ্গায়


Ekushey Sangbad
জেলা প্রতিনিধি, ফরিদপুর
০৭:১৪ পিএম, ৭ জুলাই, ২০২৩
ভালবাসার টানে মালয়েশিয়ান তরুণী ভাঙ্গায়

প্রেম মানে না জাঁতকুল প্রেম মানে না বাঁধা। প্রেমিকার কাছে প্রেমিক হচ্ছে বড় সাধনা। সেই বিশ্বাস আর ভালবাসার বিনিময় হয়েছিল মালয়েশিয়ান তরুণী আজি ফাজিরা বিনতে আব্দুল আজিজ (২৫) ও জাফর মাতুব্বরের। অবশেষে প্রেম প্রণয়ের সুত্রতায় প্রেমের টানে হাজার হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের কররা গ্রামের মৃত আবুল কাসেম মাতুব্বরের ছেলে জাফর মাতুব্বরের ঘরে ছুটে এসেছেন মালয়েশিয়ান তরুণী।

 

বৃহস্পতিবার ৬ জুলাই জাফরের গ্রামের বাড়িতে আসেন ওই তরুণী। খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শুক্রবার (৭ জুলাই) এ দম্পতিকে দেখতে উৎসুক গ্রামবাসী ভিড় জমিয়ে তোলেন জাফর মাতুব্বরের বাড়িতে।    

 

জানা গেছে, মালয়েশিয়ার দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করতেন জাফর মাতুব্বর। ব্যবসা পরিচালনাকালে পরিচয় হয় আজি ফাজিরার সঙ্গে। পরিচয় থেকে ধীরে ধীরে প্রণয়। করোনার সময় ২০১৯ সালের দিকে তারা মালয়েশিয়ায় দুই পরিবারের সম্মতিতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিছুদিন আগে জাফর মাতুব্বর দেশে আসেন। গত বুধবার ৫ জুলাই তরুণী ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়ে জাফর মাতুব্বরকে কল করেন। তার কল পেয়ে জাফর মাতুব্বর রীতিমত হতবাক বনে যায়। পরদিন বিমান বন্দর থেকে ভাঙ্গায় নিয়ে আসেন নেজের প্রেমিক স্ত্রীকে।  

 

কিছু বাংলা আর ইংরেজীতে আজি ফাজিরা বলেন, জাফর আমাকে ভালোবাসে। আমিও ওকে খুব ভালবাসি। আমি আমার স্বামীর দেশ বাংলাদেশকেও ভালোবাসি। সবাই ভালো ও আন্তরিক। এখানকার খাবার ও পরিবেশ ভালো লেগেছে আমার। জাফরের পরিবারের সবাই আমাকে আপন করে নিয়েছেন। আমি ইন্টারনেটে দেখেছি কক্সবাজার ও কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত ও সোনারগাঁও। জাফরকে আমি বলেছি আমি বাংলাদেশের সুন্দর জায়গাগুলো ঘুরে দেখতে চাই।

 

জাফর মাতুব্বর বলেন, মালয়েশিয়ায় ব্যবসা করার সময় আমার সাথে আজি ফাজিরা সঙ্গে পরিচয় হয়। পরিচয় থেকে ভালোবাসা। পরবর্তীতে আমরা দুই পরিবারের সম্মতিতে বিবাহ করি। আমি বাড়ি আসার পর আমার ভালোবাসার টানে সে বাংলাদেশে চলে আসে। সে নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। এতো আমরা দুইজন ও আমার পরিবারের সবাই খুশি। কিছু দিন পরে আমরা দুজনেই মালোয়শিয়া চলে যাব।

 

আজিমনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহজাহান হাওলাদার জানান, আমার ইউনিয়নের কররা গ্রামে মালেশিয়া থেকে স্বামীর টানে এক তরুণী এসেছেন বলে লোকমুখে জানতে পেরেছি। তাদের দুই পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়েও হয়েছে। গ্রামের লোকজন তাদেরকে দেখতে ভিড় করছে। তবে একজন বিদেশী মানুষের ( বর্তমান দেশের বউ) যাতে কোনো প্রকার অসুবিধা না হয় সেদিকে আমরা নজর রাখছি বলে জানান এই জনপ্রতিনিধি।

 

একুশে সংবাদ/স.চ.প্রতি/এসএপি
 

Shwapno
Link copied!