গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় দাম্পত্যে কলহের জেরে মাদকাসক্ত এক পাষন্ড স্বামী স্ত্রীকে হত্যা করে থানায় আত্মসমর্পণ করেছে। এ ঘটনায় স্বামী মোহসিন (২৬) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত মোহসিন সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা কলেজ পাড়া গ্রামের নুরু প্রামানিকের ছেলে।
শনিবার (৮ জুলাই) দুপুরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে স্ত্রী শেফালী বেগম (১৮) কে ঘাতক স্বামী নিজ বাড়িতে গলায় ওঁড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে। ওইদিন বিকালে নিজেই থানায় গিয়ে ঘটনাটি পুলিশকে জানায়। তার স্বীকারোক্তি মতে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে শয়ন ঘরের বিছানার ওপর থেকে স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে।
এসময় মরদেহের পাশে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। চিরকুটে লেখা ছিল এমৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। শেফালী কুফরী কালাম করতো। যা তার স্বামীর পছন্দ ছিল না। একারণে স্বামী মোহসিন স্ত্রীকে নানাভাবে সন্দেহ করতো।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মোহসিন বখাটে ও ভবঘুরে। তিনি কোন কাজ কর্ম করতেন না। শুধু বিভিন্ন ধরনের নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করে মাতাল হয়ে স্ত্রী শেফালী বেগমকে দীর্ঘদিন ধরে নানা অজুহাতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন।
এনিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। গাইবান্ধা সদর উপজেলার বালুয়াা গ্রামের মোল্লা পাড়ার মৃত কাদের মোল্লার মেয়ে শেফালী বেগমের সাথে ৪ বছর পূর্বে মোহসিনের বিয়ে হয়।
সাদুল্লাপুর থানার উপপরিদর্শক ও ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কামরুজ্জামান জানান, হত্যাকারী স্বামীর তথ্যের ভিক্তিতে ওসি স্যারসহ তার বাড়িতে গিয়ে শয়ন ঘর থেকে স্ত্রী শেফালী বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজানের উপস্থিতিতে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ গাইবান্ধা আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে এহত্যা কান্ডের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত সঠিক কোন কারণ জানাতে পারেনি পুলিশ।
সাদুল্লাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহাবুব আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এব্যাপারে নিহতের ভাই রুবেল মিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করেছে। মামলার অধিকতর তদন্ত সাপেক্ষে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।
একুশে সংবাদ/শ.ই.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :