প্যাথলজি, ইসিজি, ও এক্স-রে মেশিন সচল থাকলেও জন্ম থেকেই মৃত রয়েছে আল্ট্রাসনো মেশিন। এ কারনে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। আর এ অবস্থা চলছে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। তবে বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বললেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুর রশিদ।
জানা যায়, ১৯৮৩ সালে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠিত। ওই সময় ৩৩ শয্যা নিয়ে পথ চলা শুরু করেন প্রতিষ্ঠানটি। এরপর উন্নিত হয় ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। বর্তমানে এ কমপ্লেক্সটি ১০০ শয্যা হয়েছে। তবে লোকবল রয়েছে ৩৩ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের। কমপ্লেক্সটিতে আউটডোর, ও ইনডোরে রোগীরা চিকিৎসা সেবা নেন। রয়েছে প্যাথলজি, ইসিজি, এক্স-রে ও আল্ট্রাসনো মেশিন। এরমধ্যে তিনটি সচল থাকলেও জন্ম থেকে মৃত অবস্থায় পড়ে দুইটি আল্ট্রাসনো মেশিন। যা গেল ১০ বছর ধরে বিকল। এছাড়া এক্স-রে মেশিনের টেকনিয়ান সম্প্রতি পেনশনে গেছেন। এ কারনে ওই সেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা।
আর প্যাথলজি সেবা পান হাতে গোনা কয়েকটি। সেটাও অফিস সময়ের মধ্যে। আর বাকি বড় ধরনের প্যাথলজি সেবা নিতে রোগীদের যেতে হয় বাইরের ক্লীনিকে। শুধুমাত্র ২৪ ঘন্টার ইসিজি সেবা মেলে কমপ্লেক্সটিতে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা নিতে আসা তালসার গ্রামের আব্দুল খালেক বলেন,অনেক রোগী নিয়ে আসি হাসপাতালে। এখানে পরীক্ষা নিরিক্ষা হয় কিনা আমি জানিনা। ডাক্তাররা লিখে দেন, আমি বাইরে থেকে করে নিয়ে আসি। তবে চিকিৎসা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।
নওদা গ্রামের তানিয়া খাতুন বলেন, হাসপাতালে অনেক দিনই তো এসেছি। তবে কি কি সেবা পাওয়া যায় তা জানিনা। শুধু জানি ডাক্তার চিকিৎসা দেন। ওষুধ পাওয়া যায় আর রক্ত প্রসাব পরিক্ষা করা যায় এটা জানি। তবে আল্ট্রাসনো,ইসিজি, এক্স-রে হয় সেটা জানতাম না। আজ জানলাম এ সব সেবা পাওয়া যায়।
বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুর রশিদ বলেন, কমপ্লেক্স থেকে রোগিদের আউটডোর, ইনডোর সেবা দেয়া হয়। প্যাথলজি সেবাও দেয়া হয়। যে সব পরীক্ষা নিরীক্ষা প্রায় জায়গায় হয়ে থাকে। আর এক্স- রে টেকনিশিয়ান পেনশনে যাওয়ায় এ সেবা সাময়িক বন্ধ আছে। ইসিজি সেবা দেয়া হয় ২৪ ঘন্টায়। তবে আল্ট্রসনো মেশিন জন্ম থেকে মৃত। এটা ওপেন করার কিছুদিনের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যায়। এরপর থেকে পড়ে আছে। তবে বিষয়টি কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
একুশে সংবাদ/স.ক.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :