ক্রেতা-দর্শনার্থী শূন্য হাটহাজারী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আয়োজিত তিনদিন ব্যাপী কৃষিমেলা আজ রবিবার শেষ হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ২০ জুলাই থেকে শুরু হওয়া কৃষিমেলা শনিবার শেষ হবার কথা তবে মেলা জমে না উঠায় মৌখিকভাবে মেলার সময়সীমা একদিন রবিবার পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়।
জানা গেছে, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষীপুর, চট্টগ্রাম ও চাঁদপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় গত ২০ জুলাই (বৃহস্পতিবার) থেকে হাটহাজারীতে তিনদিন ব্যাপী কৃষি মেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উদ্বোধন করেন হাটহাজারী সংসদীয় আসন থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এমপি। তবে, কর্তৃপক্ষের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে বন্ধের দিনে মেলার আয়োজন করায় মেলা প্রাঙ্গণে তেমন কোনো ক্রেতা-দর্শনার্থী নেই বললেই চলে।
শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলা পরিষদ চত্বরে চলমান মেলা প্রাঙ্গণ ক্রেতা-দর্শনার্থী শূন্য। সেখানে শুধুমাত্র মেলা আয়োজন কমিটির কর্তা ও কর্মচারীরা চেয়ারে বসে তাদের স্টলগুলো পাহারা দিচ্ছে। এছাড়া মেলায় ব্যানার সমৃদ্ধ শুধুমাত্র তিনটি স্টল (ফতেয়াবাদ, ফতেপুর ও পল্লিমঙ্গল নার্সারি) রয়েছে। যদিও মেলায় অংশ নিয়েছে শুধু দুইটি (ফতেয়াবাদ ও পল্লিমঙ্গল নার্সারি) স্টল। এছাড়া অন্যপ্রান্তে ছিল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের নিজস্ব কিছু প্রদর্শনী স্টল ও উদ্যোক্তা কর্ণার।
এ সময় নার্সারির স্পলে কর্মরত এক বিক্রেতার সাথে কথা হলে তিনি জানান, বন্ধের দিনে মেলায় এসে তাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। গত তিন দিনে ১হাজার ৯শ টাকার মত চারাগাছ বিক্রি করেছে। অথচ তার দৈনিক বেতনের কথা দূরে থাক, কৃষি অফিসারের অনুরোধে তাদের নার্সারির বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা পিকআপে করে মেলায় আনার ভাড়ার টাকাও বিক্রি করে তুলতে পারেনি।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বন্ধের দিনে মেলার আয়োজন করে সরকারি অর্থের অপচয় করা ছাড়া আর কিছুই নয়। বর্তমান সরকার কৃষি নির্ভর দেশ গড়ার মাধ্যমে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে কৃষি সেক্টরে কত উন্নতি সাধন করেছে। এসব উন্নতি ও সমৃদ্ধির কথা তথা প্রদর্শনী কৃষি মেলার মাধ্যমে মানুষ জানবে ও বুঝবে। কিন্তু কৃষি অফিস বন্ধের দিনে মেলার আয়োজন করায় সব ভেস্তে গেল। তাছাড়া মেলা উপলক্ষ্যে ছিলা না কোন প্রচার-প্রচারনাও।
বন্ধের দিনে মেলার আয়োজন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকতা আল মামুন সিকদার সাংবাদিকদের জানান, স্থানীয় সংসদ সদস্য (এমপি) মহোদয় বন্ধের সময় মেলার উদ্বোধনের তারিখ দিয়েছেন। এ মেলার উদ্বোধন করার জন্য তিনি খুবই আগ্রহী ছিলেন। তাই বন্ধের দিনে উদ্বোধন করা হয়েছে। এতে আমাদের করার কিছু নেই। তবে, মেলা প্রাঙ্গণে ক্রেতা-দর্শনার্থী শূন্য হওয়ায় মেলার সময়সীমা রোববার পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/আ.উ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :